সৌদিতে হাল ফ্যাশনের বোরকা নিয়ে বিতর্ক
সৌদি আরবে মেয়েদের আবায়া বা বোরকা পরা বাধ্যতামূলক। এদেশের মেয়েরা শৌখিন হাতে এমব্রয়ডারি বা সূচিকর্ম করে বোরকায় একটু আধুনিকতার ছোয়া এনে গায়ে জড়াতে পছন্দ করেন।
এ বোরকায় মেয়েদের মুখ, হাত এবং পা ছাড়া পুরো শরীর ঢাকা থাকে। কিন্তু তারপরও সৌদিতে ফ্যাশনের বরকা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে।
সৌদি আরবের ধর্মীয় নেতা মোহাম্মদ আলারাফে গত রোববার টুইটার বার্তায় নারীদের এমব্রয়ডারি বা সূচিকর্ম করা ‘আবায়া’ বা বোরকা পরতে এবং মেকআপ না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
কিন্তু সৌদি নারীরা তার আহ্বান অগ্রাহ্য করেছেন। খবর বিবিসির।
মোহাম্মদ আলারাফে ওই টুইটে বলেন, ‘হে কন্যারা, এমন আবায়া তোমরা কিনবে না, যেটাতে অনেক সাজ-সজ্জা আছে। এবং তোমাদের প্রতি অনুরোধ, কোনো মেকআপ ব্যবহার করো না।’
কিন্তু তার এ আহ্বান অগ্রাহ্য করে উল্টো অনেক নারী তাদের আবায়া বা বোরকা পরা ছবি টুইটারে পোস্ট করে জানতে চায়, তাদের কেমন লাগছে।
একজন নারী টুইটারে তার আবায়া পরা ছবি পোস্ট করে জানতে চান, ‘শেখ, আমার আবায়া তোমার কেমন লাগছে? এর পরের বার আমি আরও রঙ ঝলমলে কারুকাজ করা আবায়া কিনবো।’
তবে মোহাম্মদ আলারাফে সৌদি আরবে বেশ জনপ্রিয়। তার পোস্টটি রি-টুইট করা হয় ৩১ হাজার বার।
আরেকজন টুইট করেন, ‘আমি আমার চমৎকার খোলামেলা আবায়ার ছবি শেয়ার করতে চাই।’
মুসলিম ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে এখন বোরকার বা আবায়ার গুরুত্ব বাড়ছে। হ্যারডসের মতো নামকরা দোকানেও এখন আবায়া বিক্রি হয়। কিন্তু সৌদি আরবে ধর্মীয় রক্ষণশীলরা একে ফ্যাশন হিসেবে দেখতে নারাজ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন