সৌদির ক্ষমতায় পছন্দের লোক বসিয়েছি : ট্রাম্প
সৌদি আরবে মোহাম্মদ বিন সালমান যুবরাজ হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বড়াই করে তার বন্ধুদের বলেছিলেন, তিনি আর তার জামাতা জারেড কুশনার সৌদি আরবে একটি ‘অভ্যুত্থানের পেছনে’ কলকাঠি নেড়েছেন।
ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের একজন লোককে শীর্ষ পদে বসিয়েছি।’ মার্কিন সাংবাদিক মাইকেল উলফের বই থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্দরমহল সম্পর্কে আরো যে সব বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়েছে তার মধ্যে এটি একটি। ট্রাম্প অবশ্য এ বইকে ‘মিথ্যায় পরিপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
ট্রাম্প তার প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরব যান, সেখানে তিনি ১১ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন অস্ত্র বিক্রির এক চুক্তি করেন। সৌদিরা সাড়ে সাত কোটি ডলার খরচ করে ট্রাম্পের সম্মানে এক পার্টি দেয়, ট্রাম্পের পরিবারকে সোনার তৈরি গলফ কার্টে করে বেড়াতে নিয়ে যায়।
তখনকার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফের (বইতে তাকে বর্ণনা করা হয়েছে এমবিএন নামে) সাথে কুশনারের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু উলফ লিখছেন, মোহাম্মদ বিন সালমান বা ‘এমবিএস’র সঙ্গেও কুশনারের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এমবিএ-কে সে বছর মার্চ মাসে হোয়াইট হাউস সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এমবিএস একে সৌদি রাজপরিবারের ভেতরের ক্ষমতার লড়াইয়ে তার নিজের পক্ষে ব্যবহার করেন। হোয়াইট হাউস এতে কোন বাধা দেয়নি।
মোহাম্মদ বিন সালমান ট্রাম্পকে প্রতিশ্রুতি দেন, কয়েক সপ্তাহ পর ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরের সময় চুক্তিগুলোর কথা ঘোষণা করা হবে। এই সফরের কয়েক সপ্তাহ পরই মোহাম্মদ বিন নায়েফকে গভীর রাতে আটক করলেন মোহাম্মদ বিন সালমান, তাকে বাধ্য করলেন যুবরাজের পদ ছেড়ে দিতে, এবং সেই পদে আসীন হলেন এমবিএস নিজেই।
ট্রাম্প এ খবর কিভাবে তার বন্ধুদের বলেছিলেন তা বর্ণিত হয়েছে উলফের বই ফায়ার অ্যান্ড ফিউরির ২৩১ পৃষ্ঠায়। এদিকে, বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর ট্রাম্প দাবি করেছেন, তার সম্পর্কে বইয়ে যে দাবি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
শনিবার সকালে নিয়ম ভেঙে ধারাবাহিক টুইট করেছেন মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট। টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার পুরো জীবনের সর্বশেষ্ঠ দুটি সম্পদ হচ্ছে মানসিক স্থিতিশীলতা এবং সত্যিকারের স্মার্ট হওয়া।’
‘আমি খুবই সফল ব্যবসায়ী থেকে শীর্ষ টেলিভিশন তারকা হয়েছি এবং (প্রথম চেষ্টায়) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। আমি মনে করি, শুধুমাত্র স্মার্ট হওয়ার দৌড়ে নয় বরং বুদ্ধিমত্তায়ও উতড়ে যাব…এবং একজন খুবই স্থিতিশীল বুদ্ধিমান।’
সূত্র : বিবিসি বাংলা, এএফপি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন