স্কুলে আসতে দেরি, শিক্ষিকাকে ‘পেটালেন’ প্রধান শিক্ষক!
নীলফামারী: সময় মতো স্কুলে না আসায় জহুরা বেগম (২৫) নামে এক শিক্ষিকাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক বাবুল খানের (৪৮) বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর সিঙ্গেরগাড়ী নেকাবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, নেকাবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় গেল বছর স্কুল ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। সেখানে নতুন করে ভবন তৈরির কাজ চলছে। ফলে ৯টায় আসার কথা থাকলেও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেরিতে স্কুলে আসেন।
বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষিাকা ৯টায় আসার কথা থাকলে ৯টা ৪০ মিনিটে স্কুলে আসেন। দেরিতে স্কুলে আসায় প্রধান শিক্ষক বাবুল দেরির কারণ জানতে চান। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক তাকে মারধর করতে শুরু করেন। স্কুলের পাশেই প্রধান শিক্ষকের বাড়ি। এসময় তার স্ত্রী লিপি বেগম, মেয়ে বীথি আক্তারসহ পরিবারের সদস্যরাও এসে তাকে মারধর করেন। তারা তার চুল ধরে মারতে থাকেন এবং প্রধান শিক্ষক গলায় দড়ি দিয়ে চেপে ধরেন।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দেরিতে স্কুলে আসায় দপ্তরিকে গালিগালাজ করেছি। এ সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটতে পারে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন