স্ত্রীর মর্যাদা না পেয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা
ঝালকাঠি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ৭২ বছর বয়সী সরদার মো. শাহ-আলমের স্ত্রীর মর্যাদা না পেয়ে এবং তার স্ত্রীর ‘নির্যাতনের পর’ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন জেলা ছাত্রলীগের একজন নেত্রী। তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি জেলা পরিষদে নির্যাতন এবং আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেত্রী জানান, তিনি জেলা পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের দায়িত্বে আছেন। আর এই সুবাদে পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ-আলম এর সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তিন বছর সম্পর্কের পর শাহ-আলমকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন ছাত্রলীগ নেত্রী। বুধবার দুপর ১২ টায় নাদিরা জেলা পরিষদে তার কক্ষে অবস্থান নিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন।
খবর পেয়ে বিকাল তিনটার দিকে জেলা পরিষদে হাজির হন সরদার শাহ-আলমের স্ত্রী জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী শাহানা আলম। তিনি ছাত্রলীগ নেত্রীকে দেখে তার ওপর চড়াও হন। এক পর্যায় তাকে মারতে মারতে কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়।
এ সময় বেশ কিছু ছাত্র-যুবলীগের নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত হন। আর শাহ-আলম ও শাহানা আলম গাড়িতে উঠে জেলা পরিষদ ত্যাগ করতে চাইলে ছাত্রলীগ নেত্রীও তাদের গাড়িতে উঠতে চান। কিন্তু তারা ছাত্রলীগ নেত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।
এরপর জেলা পরিষদের দ্বিতীয় তলার ছাদে উঠে সেখান থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ছাত্রলীগ নেত্রী। কিন্তু কিছু যুবক ও কয়েকজন যুবলীগ নেতা তাকে ধরে ফেলেন এবং তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে ছাত্রলীগ নেত্রী বলেন, ‘আসলে আমরা মেয়েরা কারও কাছে নিরাপদ নয়। মনে করেছিলাম এই বয়স্ক লোকটার কাছে আমি নিরাপদ থাকব। কিন্তু তিনিও আমাকে নিরাপদে রাখলেন না। তার স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য আমি প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেব।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাইব্রেরি সায়েন্সে মাস্টার্স শেষ করে ঝালকাঠির একটি ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ওই ছাত্রলীগ নেত্রী।
এ ব্যাপারে সরদার শাহ-আলমের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের একটি খবর আমি শুনেছি। মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, ‘সরদার শাহ আলমের বিষয়টি আমি শুনেছি। এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি বরিশাল সিটি নির্বাচনে আছি। ঝালকাঠি এসে বিষয়টি নিয়ে দেখব’।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন