স্ত্রীর লাগামহীন খরচ মেটাতে না পেরে তালাক দিলেন মন্ত্রী
স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে পারিবারিক নিষ্ঠুরতা ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদ চাইলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার শোভনের আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আলিপুর জেলা আদালতের জেলা জজ সুরঞ্জন কুণ্ডু। এদিনই আদালতে ওই আবেদনের বিরোধিতা করেছেন রত্নার আইনজীবী শুভাশিস দাশগুপ্ত।
দু’পক্ষের বিবাদ নিষ্পত্তি করতে আবেদনটি আদালতের ১৬ নম্বর অতিরিক্ত জেলা জজের এজলাসে পাঠিয়েছেন জেলা জজ। আগামী ১৩ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিনে রত্নাকে অভিযোগের লিখিত জবাব দিতে হবে।
সোমবার শোভনের তরফে পরবর্তী শুনানির দিনগুলি ‘ইন ক্যামেরা’ (রুদ্ধদ্বার কক্ষে শুনানি) করানোর কথা বলা হয়েছে।
শুভাশিস এদিন বলেন, ‘শোভন একাধিক অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছেন। আমরা আবেদনের বিরোধিতা করছি। অভিযোগগুলি সঠিক নয়। আমরা পরবর্তী শুনানির দিন আমাদের বক্তব্য লিখিতভাবে জানিয়ে দেব।’
বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনে শোভনের অভিযোগ, টাকা নয়ছয় করার পাশাপাশি রত্নার খরচের বহর গত কয়েক বছরে এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, তাঁর পক্ষে আর সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। টাকার জন্য তাঁকে স্ত্রী নানা ভাবে চাপ দিচ্ছেন।
শোভন আরও দাবি করেছেন, ২০১৭ সালের অগস্ট থেকে তাঁর স্ত্রী অন্যত্র থাকতে শুরু করেছেন। ২০০৮ সাল থেকে তাঁদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্ক নেই। এমনকী, এক ব্যক্তির সঙ্গে রত্নার ‘সুসম্পর্ক’ রয়েছে এবং ওই ব্যক্তির সঙ্গে রত্না একাধিকবার বিদেশ সফরে গিয়েছেন বলেও শোভনের অভিযোগ।
শোভনের আইনজীবী প্রতিমপ্রিয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘অর্থের জন্য নানা ভাবে নির্যাতন চালান রত্না। তাঁর লাগামহীন খরচ সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। টাকা নয়ছয় করা হচ্ছিল। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়া হয়েছে।’
নারদ-কাণ্ডে তদন্তে দু’বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) মুখোমুখি হয়েছেন শোভন। রত্নাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি। বিদেশে থাকার কারণ দেখিয়ে তিনি এখনও তদন্তকারীদের মুখোমুখি হননি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন