স্ত্রী চান না তাই বৃদ্ধা মায়ের ঠাই হল ভাঙা টিনের ঘর
মরিয়ম বেগমের বয়স প্রায় একশ বছর। ধনাঢ্য ছেলে-মেয়ে থাকার পরও বৃদ্ধা মায়ের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে অন্ধকার একটি ভাঙা টিনের ঘরে। ঘরের ভিতর একটি পুরনো তোশক, আর দুই চারটি থালা-বাসন ছাড়া আর কিছুই নেই। আর এই অন্ধকার ঘরেই একা একা দিন পার করছেন এই বৃদ্ধা মা।
একমাত্র ছেলের স্ত্রী চান না বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে একই বাড়িতে থাকতে, তাই ছেলে তাকে রেখে গেছে অন্ধকার ঐ ভাঙা ঘরে। ঐ ঘরের ৫০০ মিটার দূরেই রয়েছে ছেলের নিজস্ব তিনতলা বিশাল অট্টালিকা।
এই হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল ৩ নং ওয়ার্ডে। বৃদ্ধার বড় ছেলে কিরণ শিকদারের পলাশে সাজ ডেকরেটর নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ছেলের নিজস্ব তিনতলা ভবন
বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর সেটি নরসিংদী পুলিশ সুপারের নজরে এলে তিনি বৃদ্ধার ছেলে কিরণকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পরে পলাশ থানা পুলিশ রবিবার দুপুরে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাকে আটক করে।
এব্যাপারে পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, বৃদ্ধা মাকে নির্জন অন্ধকার ঘরে ফেলে রাখার ঘটনায় তার ছেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, খবর প্রকাশ করায় তার স্ত্রী এক সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন মর্মে সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। এটিও তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন