স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুমতি দলের কৌশলগত সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টিকে দলীয় কৌশল বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. মিলন চত্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে রোববার। দুটি আসন ফাঁকা রেখে ২৯৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে তারা। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার ৩৫৬টি। যারা মনোনয়ন পাননি তাদেরও সুযোগ থাকছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া ঠেকাতে ‘ডামি’ প্রার্থী রাখার পরামর্শ দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দলের অবস্থান অনুযায়ী ভবিষ্যৎ মাথায় রেখে দলীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন এবং সিদ্ধান্ত দেন। নতুন নতুন সময়ে নতুন নতুন স্ট্র্যাটেজিও দলকে গ্রহণ করতে হয়। এসময় যে কৌশল দরকার আমাদের, আমাদের নেত্রী সেই কৌশলই ঠিক করেছেন এবং গতকাল তার বক্তব্যে প্রকাশ করেছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েও পরপর দুদিন চেষ্টা করেও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাজেই এ নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহ কতটা, সেটা এখানেই পরিষ্কার হয়ে যায়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গী খোঁজার দরকার নেই। আওয়ামী লীগের সঙ্গী বাংলাদেশের জনগণ, জনগণই আমাদের সঙ্গী জনগণই আমাদের বন্ধু। জনগণই আমাদের শক্তির উৎস।

‘বিএনপি দুষ্কর্মের বন্ধু খুঁজে বেড়ায়। তারা যেটা করছে এখন… তারা রাজনৈতিক আন্দোলনের ব্যর্থ হয়ে চোরাগোপ্তা, অলিগলি খুঁজে বেড়াচ্ছে। নাশকতা করে নির্বাচন পণ্ড করতে চাইছে। তাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নই রয়ে যাবে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সারা বাংলায় আজ জনগণের যে জাগরণ, নির্বাচনের পক্ষে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে, মনোনয়ন ঘোষণার পর সারা বাংলায় উপচে পড়া ঢল। আমি বিশ্বাস করি ভোটার টার্নওভারও খুব ভালো হবে। বিচ্ছিন্ন বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস করে নির্বাচনের পক্ষে যে গণজোয়ার তা রুখতে পারবে না। তাদের সব স্বপ্ন এখানেও ব্যর্থ হবে।