স্বদেশ প্রত্যাবর্তন খালেদা জিয়ার

দুই পুত্রবধূকে সাথে নিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর গুলশানে তার বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেছেন তিঁনি। তার সঙ্গে আছেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান।
মঙ্গলবার (০৬ মে) সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে সোমবার (০৫ মে) বাংলাদেশে সময় ৯টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। মাঝে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাদ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে ১ ঘণ্টার জন্য বিরতি ছিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। এ সময় সেখানে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজনীয় জ্বালানি নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার আগমনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কয়েকটি নির্দেশনাও জারি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় কারাবন্দি ছিলেন। এ সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন অগ্রাহ্য করে চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত করে আওয়ামী সরকার।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম হয়। আইনি লড়াইয়ে তিনি সব মামলা মোকাবিলা করছেন। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতও তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে করা মামলাগুলোকে হয়রানিমূলক বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
এর আগে দলীয় নির্দেশনা দিয়েছিলো বিএনপি, সেগুলো ছিলো:
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি : বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত
ছাত্রদল : লা মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত
যুবদল : খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি : হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত
স্বেচ্ছাসেবক দল : আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত
কৃষক দল : বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত
শ্রমিক দল : কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত
ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস ও মৎস্যজীবী দল : শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত
পেশাজীবী সংগঠনগুলো : বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত
মহিলা দল : গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত
জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা : গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিএনপির নেতাকর্মীরা যার যার সুবিধামতো অবস্থান নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
নেতাকর্মীরা দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার এক পাশে ফুটপাতে দাঁড়ান। খালেদা জিয়ার গাড়ির পেছনে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে যাওয়া যাবে না। গাড়ির পেছনে হেঁটেও যাওয়া যাবে না। এ ছাড়া বিমানবন্দরের ভেতরে ও খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন