ঘণ্টায় ১২০ কি.মি. বেগে চলবে ট্রেন
স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু নির্মাণের কাজ এখন দৃশ্যমান
যমুনা নদীর বুকের উপর স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যেই এ সেতুর প্রায় ৩ কিঃ মিটার কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। এ রেলসেতুর কাজ সম্পন্ন্য হলে ঢাকার সাথে উত্তর-পশ্চিমা ও দক্ষিণাঞ্চলের রেল যোগাযোগে আরো উন্নতি হবে।
সূত্রের তথ্য মতে জানান-যমুনা নদীর বুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতু নির্মাণের কাজ এখন দৃশ্যমান। সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
ইতিমধ্যে রেল সেতুর ৫৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এই রেল সেতুতে মোট ৫০টি পিলারের ওপর বসানো হবে ৪৯টি স্প্যান। ইতিমধ্যে ৩৫ নম্বর থেকে ৫০ নম্বর পিলারের কাজ শেষ করেছেন প্রকৌশলীরা। সহস্রাধিক দেশি-বিদেশী প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের তত্ত্বাবধানে চলছে রেলসেতুর এ কর্মযজ্ঞ।
ইতোমধ্যে সেতুতে বসেছে ১০টি স্প্যান। এরফলে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ১ কিলোমিটারেরও বেশি অংশ। সেতুতে বসানো প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য গড়ে ১শ’ মিটার। সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এই সেতুতে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলাচল করবে। সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫৩%।
প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভীর সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বলেন, ইতোমধ্যে ৪৩টি পিলার স্থাপন শেষ হয়েছে। বাকি ৭টি পিলার নির্মাণের কাজ চলছে। ৩১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এতে সেতুর ৩ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার দৃশ্যমান। প্রতিটি স্প্যানের ওপর জাপানি প্রযুক্তির রেললাইন বসানো হচ্ছে। এতে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কি. মি. বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে এবং প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পের কাজ সব মিলিয়ে ৭৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজ আগষ্টেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু অপর প্যাকেজটির কিছু কাজ বাকী থাকবে। চুক্তির মেয়াদ ৩/৪ মাস বাড়াতে হতে পারে। ডিপিপির মেয়াদ ২০২৫ পর্যন্ত রয়েছে। মেয়াদের আগেই চুক্তি অনুযায়ী শেষ হওয়ার কথা এবং কিছুটা পিছিয়ে আছে ডব্লিউডি-২ প্যাকেজ ।
উল্লেখ্য, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে এবং এ রেলসেতু নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর রেলসেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ রেলসেতু চালু হলে উত্তরাঞ্চলসহ দেশে আরো উন্নয়ন ঘটবে বলে বিশিষ্টজনেরা এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন