স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য বেশি হলেই বিপদ!
ভালোবাসা যেখানে, সেখানে বয়স আর কী! এমন ভাবনার দিন মনে হয় শেষে হতে চলেছে বন্ধুরা। কারণ বিজ্ঞান যা বলছে, তা যদি সত্যই হয়, তাহলে তো মশাই এবার থেকে ভালোবাসার চাইতেও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার বয়সের পার্থক্য কত, তার উপর! কেন, এমনটা করা জরুরি কেন?
১৩ বছরের একটি দীর্ঘ গবেষণায় দেখা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য বেশি হলেই দাম্পত্য কলহ বেশি হয়। গবেষণাটি করা হয় অস্ট্রেলিয়ায়।
এতে দেখা গেছে, যেসব যুগলের স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কম তাদের মধ্যে জীবনের মোড় পরিবর্তনকারী নানা সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। যেমন কখন সন্তান নিতে হবে, কীভাবে অর্থ ব্যয় করতে হবে ইত্যাদি।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যেসব পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য কম তারা হঠাৎ আর্থিক সংকটের মতো বড় কোনো সংকট মোকাবেলা করতে পারেন সহজেই।
তবে ওই গবেষণায় আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে, যে পুরুষদের স্ত্রী তাদের চেয়ে বয়সে ছোট তারা বেশি সুখী। গবেষকরা একে বিস্ময়কর কিছু নয় বলেই মন্তব্য করেন। অন্যদিকে, যে পুরুষরা তাদের চেয়ে বয়সে বড় নারীদের বিয়ে করেছেন আখেরে তারা খুব একটা সুখী হতে পারেন না। গবেষণায় দেখা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য খুব বেশি হলে চাওয়াগুলোতেও খুব বিস্তর পার্থক্য দেখা দেয়।
গবেষকরা সবচেয়ে বিস্মিত হন যা দেখে, যে নারীদের স্বামীর বয়স বেশি তারাও গভীরভাবে অসন্তুষ্ট। অন্যদিকে, যে নারীদের স্বামীর বয়স তাদের কাছাকাছি সে নারীরা অনেক বেশি সন্তুষ্ট।
তার মানে হলো, পুরুষ বা নারী সকলেই কম বয়সী জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনী পছন্দ করেন! এছাড়া যেসব দম্পতির বয়স কাছাকাছি তারা দাম্পত্য জীবনে সবচেয়ে বেশি সফল। সূত্র : দ্য ইনডিপেনডেন্ট
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন