স্বৈরাচারী হাসিনাকে জাতির সামনে বিচার করা হবে : আমিনুল হক

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিশ্বের যে প্রান্তে,যেখানে গিয়েই লুকিয়ে থাকুক না কেনো,শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে জাতির সামনে বিচার করা হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে যেভাবে গুলি করে ছাত্র জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। অবৈধ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার কর্তৃক গত ১৭ বছরে যত গুম খুন ও হত্যা করা হয়েছে এবং এই হত্যা ও গুম খুনের পরিকল্পনার সাথে যারা জড়িত তার প্রতিটি বিচার করা হবে।

আমিনুল হক বলেন,গত ১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষ সত্য কথা বলতে পারেননি। সাংবাদিক ভাইয়েরা তারা সত্য কথা প্রকাশ করতে পারেননি। আপনি আমি সত্য কথা বললেই আমাদেরকে মামলা, হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন ও রিমান্ডের নামে শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের দেশ আজ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে, এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা সত্য কথা বলতে পারছি,স্বাধীন ভাবে চলতে পারছি। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য বড় অর্জন।

আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্নক ভাবে সহযোগিতা করছি উল্লেখ করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে এ দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ভোট দিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং সেই সরকার জনগণের কথা মতো চলবে। বাংলাদেশের জনগণের কাছে থাকবে তার জবাবদিহিতা।

স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসররা এখনও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা আর কোন দূর্নীতিবাজ, লুটতরাজ, দখলদারি স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশে হউক তা দেখতে চাই না, বাংলাদেশে কোন স্বৈরাচারের স্হান নেই। স্বৈরাচার মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত রুপনগর ও ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় (তিনটি পরিবার) মোঃ আনোয়ার, মোঃ মোমেন ও যুবদল নেতা মহিউদ্দিন এর পরিবারের সাথে দেখা করে তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তার পক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর এলাকায় ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে হতাহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক উত্তরার বিএনপি নেতা হাজী মোস্তফা জামান, আখতার হোসেন, ঢাকা মহানগর সাবেক সদস্য হাজী মোঃ ইউসুফ,ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, মাহাবুব আলম মন্টু, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব কামরুজ্জামান,সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ফরিদ আহমেদ,প্রচার সম্পাদক আহসানুল হক চৌধুরী,পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি নূর সালাম, রুপনগর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইন্জিনিয়ার মজিবুল হক, যুগ্ম আহবায়ক আলী আহমেদ রাজু,যুগ্ম আহবায়ক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, থানা সদস্য আশরাফুল ইসলাম,মোঃ ইউসুফ মাদবর,৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন সাধারণ সম্পাদক খোকন মাদবর সিনিয়র সহসভাপতি ইমরান মুন্সিসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।