স্বৈরাচারের দোসর প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদষ্টো শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ পতিত স্বৈরাচারের প্রেতাত্মা বা দোসর প্রমাণিত হলে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কোনো আপস করা হবে না। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ থাকলে তা আমাদের কাছে পেশ করুন।

শনিবার রংপুর শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সমাজকল্যাণ উপদষ্টো আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্র-জনতার সংগ্রামের ফল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা পেয়েছি, দেশ পেয়েছি ও পতাকা পেয়েছি। কিন্তু সাম্য, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এজন্য ছাত্র-জনতাকে আবারও ২০২৪ সালে সংগ্রাম করতে হলো। আজকের বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্র-জনতার সংগ্রামের ফল।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন ও দেশ গঠনে কাজে লাগাতে হবে। প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে চিহ্নিত করতে হবে। আগের ন্যায় আবারও ভুল করা যাবে না। যে কষ্ট আমরা ৫৩ বছর ধরে বহন করেছি এবং মুক্তিযুদ্ধের নামে বারবার ভুল করেছি সে ভুল আমরা করব না। ২০২৪ সালে তরুণ সমাজ যেভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এবং যে সাহস দেখিয়েছেন তা সারা বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। যুগে যুগে এটা নিয়ে গবেষণা হবে। ছাত্র-জনতার অভু্যত্থানে আমরা দ্বিতীয়বার নতুন করে সমাজ গড়ার যে সুযোগ পেলাম তা কাজ লাগাতে হবে।

উপদষ্টো বলেন, আমাদের কাজের সমালোচনা ও তিরস্কার করুন কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। কাজ করতে ভুল হতে পারে। ভুল শুধরে এগিয়ে যেতে হবে।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, শহিদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়’র মা সামসিয়ারা জামান কলি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জুলাই-আগস্টে রংপুর বিভাগের ৬৬ শহিদ পরিবারের মধ্যে ৪৪ পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার চেক হস্তান্তর করা হয়। বাকিদের পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে।