সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে লিটারপ্রতি ৯ টাকা বাড়ানো হলো
সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এই ঘোষণা দেয়। তেলের দাম বাড়িয়ে নতুন মূল্য তালিকাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
নতুন দামে এখন থেকে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকায় বিক্রি হবে, যা এত দিন ১৪৪ টাকা ছিল। এছাড়া পাঁচ লিটারের এক বোতল তেলের দাম পড়বে ৭২৮ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১২৯ টাকা ও পাম সুপার তেল ১১২ টাকা দরে কিনতে হবে ক্রেতাদের।
সংগঠনটির সচিব মো. নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের জুনের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেহেতু ভােজ্যতেলের মােট চাহিদার ৯৫ ভাগেরও বেশি আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়, সেহেতু সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে স্থানীয় বাজারেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে যেই পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে স্থানীয় বাজারে সেরকম বাড়েনি।
এতে আরও বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিতভাবে দেশীয় উৎপাদন, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, আমদানি পরিস্থিতি এবং স্থানীয় বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিগত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৬০ শতাংশ। একই সময়ে স্থানীয় দেশীয় বাজারে মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৩৫ শতাংশ।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে অতিমাত্রায় মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসােসিয়েশনের পক্ষ থেকে গত ১৯ মে গড়ে লিটারপ্রতি ১৩ টাকা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং বিষয়টি বিবেচনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ইতােপূর্বে পবিত্র মাহে রমজান এবং করোনা মহামারির কারণে ভােক্তাসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরােধে পবিত্র ঈদুল ফিতর পর্যন্ত প্রতি লিটারে ৩ টাকা ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংগঠনটি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তাবিত মূল্য বৃদ্ধি করা না হলে সংগঠনটির ব্যবসায়ীদের পক্ষে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া দুরূহ হয়ে পড়বে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ভােজ্যতেলের মােট চাহিদার ৬৫ শতাংশ পাম অয়েলের মাধ্যমে পূরণ হয়ে থাকে, যার পুরােটাই আমদানির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ করা হয়। পাম অয়েলের ইনবন্ড ও আউটবন্ড মূল্য গতমাসে কিছুটা হ্রাস পাওয়ার প্রেক্ষিতে, সেই অনুসারে পাম অয়েলের বাজারমূল্য হ্রাস করা হয়েছে।
চলমান করোনা মহামারির কথা মাথায় রেখে, সাধারণ ভােক্তাশ্রেণির কষ্টের কথা বিবেচনা করে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যালােচনার প্রেক্ষিতে অ্যাসােসিয়েশনের প্রস্তাবিত মূল্য হ্রাস করে এই সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হলাে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন