হজযাত্রীর জন্য উড়োজাহাজ লিজ পাচ্ছে না বিমান

আসন্ন হজ উপলক্ষে যাত্রীদের সৌদি আরব আনা-নেয়ার উড়োজাহাজ লিজ পাচ্ছে না বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। চারটি সুপরিসর উড়োজাহাজ লিজ নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হলেও এখন পর্যন্ত দুটি নিতে পেরেছে বিমান। আর বাকি দুটি এখনও পায়নি।

প্রতি বছরের ন্যায় ৫০ শতাংশ হজযাত্রী নিয়ে সৌদিতে উড়াল দেয় বিমান। কিন্তু হাজির সংখ্যা বাড়ায় চারটি উড়োজাহাজ লিজ নিতে না পারলে এবারও শিডিউল বিপর্যয় হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন।

বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির ৩৫তম বৈঠকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল আশরাফ খান এবং সাবিহা নাহার বেগম অংশ নেন।

গত হজ মৌসুমে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজফ্লাইট শিডিউল। বাতিল করা হয়েছিল ১২টির মতো ফ্লাইট। অনেক যাত্রী হজ করতে পারেননি। এবার যেন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চায় সংসদীয় কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রতিবেদন দেয় বিমান।

ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিমান পরিচালনা পর্ষদের ২০১তম সভায় ২০১৮ সালের হজ মৌসুমে বিমানের শিডিউল অপারেশন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চারটি সুপরিসর উড়োজাহাজ সংগ্রহের অনুমোদন দেয়া হয়। তিনশ’ আসনবিশিষ্ট ওসব উড়োজাহাজের পাইলট, ক্যাবিন ক্রুসহ (ওয়েট লিজ) লিজের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর দরপত্র আহ্বান করলে মোট ছয়টি প্রস্তাবনা পাওয়া যায়। সব বিষয় পর্যালোচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকার এম/এস এসিএম-১২৪-এর উড়োজাহাজ লিজের অনুমোদন দেয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে চারটি উড়োজাহাজের পরিবর্তে দুটি উড়োজাহাজ সরবরাহ করবে বলে বিমানকে অবহিত করে। এরপর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা ফ্রান্সের এম/এস এলিকো হতে আরও দুটি উড়োজাহাজ সংগ্রহের উদ্যোগ নিলে প্রস্তাবিত উড়োজাহাজ অন্যত্র ভাড়া দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়। এখন মালয়েশিয়াভিত্তিক এম/এস ফ্লাই গ্লোবালের ৪০৬ আসনবিশিষ্ট দুটি উড়োজাহাজ ওয়েট লিজ সংগ্রহের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

সূত্র জানায়, বিমানের এ উদ্যোগে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সংসদীয় কমিটির সদস্যরা। কেন লিজের উদ্যোগ আগে নেয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। এমনকি বিমান লিজের ক্ষেত্রে তাদের সম্পৃক্ত করারও দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, হজ মুসলমানদের জন্য একটি মূল্যবান বিষয়। সরকার চায় প্রতিবারই সুন্দরভাবে পালন করা হোক হজ। এ নিয়ে হাজিরা যাতে চিন্তায় না থাকেন তা নিশ্চিত করা বিমানের দায়িত্ব। তাই তাদের তাড়াতাড়ি উড়োহাজাজ লিজ নেয়ার জন্য সুপারিশ করেছে কমিটি।