হঠাৎ লাল হয়ে উঠল এই সমুদ্রের পানি, কিন্তু কেন?
ডেনমার্কের অন্তর্গত ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জে রীতির নামে প্রায় দেড়’শ তিমিকে হত্যা করার কারণে লাল হয়ে উঠল সমুদ্রের পানি। সেই ছবিই সামনে এসেছে সম্প্রতি।
যার জেরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দাদের গ্রিনদারাপ নামে একটি বার্ষিক রীতি রয়েছে। ১৫৮৪ সাল থেকে চলে আসা এই রীতিতে তিমি শিকার করে সেটির মাংস খেয়ে থাকেন তারা। তখন থেকেই তিমির মাংস তাঁদের কাছে মূল খাদ্যের উৎস ছিল। সেজন্য এবছরও শিকার করা হয়েছে তিমি।
জানা গিয়েছে, অন্তত ১৫০ থেকে ২০০ তিমির ঝাঁক ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় সেগুলিকে মাঝ ধরার জাহাজ, বোটের সাহায্যে পাড়ের দিকে নিয়ে আসা হয়। তারপরেই তোরশভান বিচে স্থানীয়রা সেগুলিকে একের পর এক নিধন করতে থাকেন।
মাত্র ২০ মিনিটেই হত্যা করা হয় সমস্ত তিমিকে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয় তাদের শিড়দাঁড়া। এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন কয়েকশত মানুষ। কিন্তু তাঁরা কেউই প্রতিবাদ করেননি। এরপর অপর একটি বিচে এভাবেই আরও আটটি সাদা ডলফিনকে মেরে ফেলা হয়।
গোটা ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। রীতির নামে কেন নিরপরাধ প্রাণিদের মারা হবে? বিভিন্ন মহলে এই প্রশ্ন উঠছে। এমন নিষ্ঠুর রীতি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। ‘পেটা’-র পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘প্রত্যেকটি প্রাণিকে নিষ্ঠুরতার সঙ্গে মেরে ফেলা হয়েছে। গোটা পরিবারটিকে খুন করা হয়েছে।
বেশ কয়েকটি তিমি এরপর ওই জায়গায় ঘোরাফেরা করেছে। তিমি এবং ডলফিন কিন্তু খুবই বুদ্ধিমান। আমরা যতটা দুঃখ-কষ্ট, ভয় পাই, ওরাও পায়। ’ ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই রীতির সমালোচনা করেছেন। দাবি তুলেছেন, অবিলম্বে রীতির নামে এইভাবে প্রাণিহত্যা যাতে বন্ধ করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন