হত্যাকারীদের এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই : আমিনুল হক
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অবঃ) সাখাওয়াত হোসেন এর সম্প্রতি বক্তব্যের প্রসংগ উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক বলেছেন, আমি সাখাওয়াত সাহেব কে অনুরোধ করবো, আমরা চাই আপনি এমন কোন বক্তব্য দিবেন না, যে বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে আবার একটা নতুন করে বিভাজন সৃষ্টি হয়, আমরা চাই স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাটিতে যারা স্বৈরাচারী করেছে সে আওয়ামীরা।
তাদের বাংলাদেশের মাটিতে কোন স্হান নাই। তাদের পক্ষ হয়ে কোন কথা বলবেন না। আমরা চাই ছাত্রদের যে দাবী, আমাদের যে দাবী, আপনি নিউট্রাল থেকে বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে কিভাবে সুন্দর করে সাজানো যায়, বাংলাদেশে কিভাবে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়, বাংলাদেশের মাটিতে কিভাবে সুন্দর শান্তি শৃংখলা বজায় রাখা যায়,এই বিষয় গুলো নিয়ে আপনি কাজ করবেন।
তিনি বলেন, রাজনীতি করার অধিকার সবার রয়েছে কিন্তু আওয়ামী লীগ যারা স্বৈরাচারী করেছে, মানুষ হত্যা করেছে, তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই।
আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বর স্টেডিয়ামের সামনে থেকে প্রশিকা মোড় হয়ে মিরপর ৭ নম্বর দিয়ে মিল্ক ভিটা, রুপনগর আবাসিক মোড়,দুয়ারীপাড়া, মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সন্ত্রাস নৈরাজ্য বিরোধী জনসচেতনতা বাড়াতে মিছিল গণসংযোগ করে পথসভায় তিনি তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, আমাদের দাবী এখন স্পষ্ট, আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাার ফাঁসী চাই। কারন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা গত ১৭ টা বছর ধরে বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষ গুম করেছে, যে পরিমান মানুষকে হত্যা করেছে এবং আমাদের সদ্য যে, ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের যে পতন হয়েছে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছাত্র – সাধারণ মানুষ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর যেভাবে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, এর বিচার আমরা বাংলার মাটিতে অবশ্যই দেখতে চাই এবং শেখ হাসিনার সাথে যারা মন্ত্রী-এমপি ছিলেন, প্রশাসনের অনেকেই রয়েছেন, যারা তার আজ্ঞাবহ ছিলেন, তাদেরও আমার বিচার দাবী করছি।
সংখ্যালঘুদের প্রসংগ টেনে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, গত ১৭ টা বছরে এই স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার সংখ্যালঘু ভাইদের উপর ষড়যন্ত্র করে জুলুম নিপীড়ন নির্যাতন করেছে, তাদের বাড়ী ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে, এরপর তার দায় তারা বিএনপির উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় সংখ্যালঘু ভাইয়েরা রয়েছে, মন্দির রয়েছে, আপনারা প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করবেন। তাদের উপাসনালয় মন্দির পাহাড়া দিবেন। হিন্দু,বৌদ্ধ,খৃষ্টান, মুসলিম সকলেই আমরা ভাই ভাই। সবাইকে দিয়েই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
আমিনুল হক বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের প্রেতাত্নারা এখন বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বিরাজমান রয়েছে, তারা যড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।তাদের এ যড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলকে সর্তক ও সজাগ থাকতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা আজকে মিছিল করেছি, তা শান্তিপূর্ণ মিছিল। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। আগামী ১৪ ও ১৫ ই আগষ্ট ঢাকা মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করবো,এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিতে হবে আমাদের। যাতে আওয়ামী সন্ত্রাসী আবারও মাথা চাড়া দিতে না পারে। বাংলাদেশে কোন স্বৈরশাসকের স্হান নাই
বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠুও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগনের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হবে, এটাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য বলে তিনি তার বক্তব্যে যোগ করেন।
এ সময় কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান জাফির তুহীন, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোঃ কামরুজ্জামান যুগ্ম আহবায়ক শফিউদ্দিন আহমেদ শিপন,
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য এবিএমএ রাজ্জাক,মাহবুব আলম মন্টু, ওয়ার্ডকাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান সিনিয়র আশরাফ আলী গাজী, কাফরুল থানা বিএনপির আহবায়ক একরাম হোসেন বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক আকরামুল হক সাব্বির দেওয়ান জনি, ফজলুর রহমান মন্টু, মিরপুর থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী আব্দুল মতিন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, রুপনগর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইন্জিনিযার মজিবুল হক যুগ্ম আহবায়ক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, রুপনগর থানাধীন ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন সাধারণ সম্পাদক খোকন মাদবর,পল্লবী ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা মাস্টার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন,৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, স্বেচ্ছাসেবক দল মিরপুর থানার আহবায়ক ফিরোজ আহমেদ, যুবদল পল্লবী থানার আহবায়ক নূর সালাম সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া, পল্লবী থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম নাজুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন