হরতালের প্রভাব কম, সমর্থকদের খণ্ড খণ্ড মিছিল
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম দলগুলোর হরতালের তেমন কোনো প্রভাব নেই রাজধানীতে। তবে পল্টন দোড় এবং শাহবাগে হরতালের সমর্থনে মিছিল করতে দেখা গেছে। পুলিশ তাদেরকে সেভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেনি।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ডাকা এই হরতালের প্রভাব খুব একটা নেই রাজধানীতে। সকাল থেকেই স্বাভাবিক নিয়মে খুলেছে অফিস, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রাজধানীতে যান চলাচলও অন্যান্য দিনের মতোই। হরতালের সমর্থনে পিকেটিং চোখে পড়েনি খুব একটা। রাজধানীতে হরতাল সমর্থকদের অবস্থান দুই একটি জায়গাতেই সীমাবদ্ধ।
বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ৩৫ পয়সা বাড়ানোর প্রতিবাদে আজ আধাবেলা হরতালের ডাক দেয় সিপিবি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। পরদিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচিতে সমর্থন দেয়ার কথা নাকচ করলেও বুধবার সমর্থন দেয়ার কথা জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে এই কর্মসূচিতে বিএনপির কোনো অংশগ্রহণ দেখা যায়নি কোথাও।
সকালে হরতালের শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড় থেকে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে আসেন। তাদের শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তারা বাধা ডিঙিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।
ঠিক শাহবাগে মোড়ে অবস্থান না করে হরতাল সমর্থকরা জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয়।
সকালের দিকে একবার পুলিশ ওই এলাকায় সাঁজোয়া যান থেকে বিকট শব্দ সৃষ্টি করে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন একজন হরতাল সমর্থক। পরে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের কর্মীরা মিছিল নিয়ে শেরাটন মোড় ও কাঁটাবন মোড় ঘুরে আবার শাহবাগে এসে অবস্থান নেন।
শাহবাগের মোড়ের একেক পাশে পুলিশের তিনটি সাঁজোয়া যান রাখা হয়েছে। বেশ কিছু পুলিশ সদস্যকেও মোড়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের একাংশের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, ‘সকাল থেকে শাহবাগে আমরা অবস্থান নিয়েছি। মিছিল ও সমাবেশ করছি। কিন্তু পুলিশ এক ধরনের শব্দ তৈরি করে আমাদের বার বার সরিয়ে দিতে চাইছে।’
শাহবাগ এলাকায় না হলেও বিভিন্ন জায়গায় হরতাল সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, ‘আমরা মিছিল সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি পালন করছি। কর্মসূচি বেলা দুইটা পর্যন্ত চলবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন