হাতীবান্ধায় কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।কন্দাল প্রকল্পের মখা কচু ও পানি কচুর প্রকল্পের ভুক্তভোগীদের ১৮ হাজার টাকার বরাদ্দ থেকে তারা পেয়েছে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। বাকি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে ওই সুচতুর কৃষি কর্মকর্তা।
২০২৩- ২৪ অর্থবছরে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার শিংগীমারী ইউনিয়নের দ. ধুবন গ্রামের আফজাল হোসেনের স্ত্রী আফরোজা বেগম। তিনি কন্দাল প্রকল্পের একজন সুবিধাভোগী। এ প্রকল্পের আওতায় এবারে তিনি সাড়ে তিন হাজার পানি কচুর চারা ও নগদ ২ হাজার ৫শ টাকা পেয়েছেন।
অপর কৃষক শাহ আলমের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনি কোন কচুর বীজই পায়নি। তবে এ প্রকল্পের আওতায় কৃষি অফিস থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে জানান। দ. গোতামারী গ্রামের তফিল উদ্দিনের পুত্র শরিফুল ইসলাম বলেন, তাকে ৩ হাজার কচু বীজের চারা ও নগদ ২ হাজার টাকা দিয়েছে।
এছাড়াও তিনি নানা ধরনের ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে। তবে সাধারণ কৃষকেরা সুচতুর কৃষি কর্মকর্তার কলমের খোঁচার রহস্য বুঝতে পারেন না। তাদেরকে নানা কৌশলে ভুয়া বিল ভাউচারে স্বাক্ষর নেয়। যে কারনে সঠিক বরাদ্দের কোন তথ্য তাদের অজানা।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া তাঁর বিরুদ্বে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বরাদ্দ অনুযায়ী কৃষকদের প্রজেক্টের প্রাপ্তি বুঝে দেয়া হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন