হাতীবান্ধায় কোটা সংস্কারকারীর সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত-১০

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বৃহঃস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে মেডিকেল মোড়ে কলেজের প্রধান গেটের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ও ছাত্রলীগরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি স্লোগানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়।এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আক্রমনে টিকতে না পেরে পালিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে আশ্রয় নেয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগকে ধাওয়া করতে গিয়ে হাসপালে ইট পাটকেল ছোড়ে হাতীবান্ধা শহর দিয়ে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের দিকে যায় আন্দোলনকারীরা। কাউকে না পেয়ে আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে চলে আসে। এরপর দুপুরের দিকে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মী হাসপাতালে এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।যাওয়ার পথে আনন্দ টিভি জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহিম ও মানবকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান সাজুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়।

এতে দুই পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় লাবীব নামের একজন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী।

তারা জানান, সকালে আমাদের পূর্ব কর্মসূচি হিসাবে আমারা আলিমুদ্দিন কলেজ থেকে উপজেলার দিকে যাচ্ছিলাম মহাসড়ক অবরোধের জন্য। তখনি কিছু ছাত্রলীগ নামধারী পরিচয় দিয়ে আমাদের ক্যাম্পাস থেকে যেতে দিচ্ছিল না।
সে সময় আমাদের মেডিকেল মোড়ে অবরোধ চলাকালীন অন্য ছাত্ররা এই সংবাদ জানতে পেরে কলেজ গেটে ছুটে আসলে ছাত্রলীগ নাম ধারীরা আরো উত্তেজিত হয় দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপরে হামলা করে।এতে আমাদের একাধিক ছাত্র আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রথর্মে মেডিকেল এবং পরে আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর করে।এসময় সংবাদ সংগ্রহের জন্য আনন্দ টিভির সাংবাদিক আঃরহিম ছাত্রলীগের হামলা স্বীকার হন।বর্তমানে সে হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।

তবে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাফিউল হোসেন সম্পদ বলেন, আমরা কাউকে হামলা করেনি।ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা উল্টো তাদের ওপর হামলা করেছে। এতে ছাত্রলীগের ৩ জন আহত হয়েছেন এবং আমাদের পাটি অফিস ও হাসপাতাল ভাংচুর করেছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন আন্দোলনকারীরা।