হাতীবান্ধায় তিস্তার তোড়ে ভেঙ্গে গেল কমিউনিটি ক্লিনিক

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) ভোরে তিস্তার তোড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলো হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না কমিউনিটি ক্লিনিকটি। এটি ছিল চরের মানুষজনের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র অবলম্বন।

গত মঙ্গলবারও ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল কমিউনিটি ক্লিনিকটি। কিন্তু বুধবার ভোরে এটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলো। চরের লোকজনের শেষ ভরসার অবলম্বনটি হারিয়ে চিন্তায় স্থানীয়রা।গড্ডিমারী, শিংগীমারী,চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়ার পশ্চিম ও পূর্ব হলদীবাড়ী, ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর ডাউয়াবাড়ি ও কিশামত নোহালীর কয়েকশ বাড়ী, মসজিদ, স্কুল, কমিনিউনিট ক্লিনিক ও কয়েক হাজার একর ফসলী জমি নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে। সিন্দুর্না সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও ঝুঁকির মুখে পড়েছে।এটি যে কোন সময় সর্বনাশা তিস্তায় হারিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা: মাসুদ পারভেজ তিস্তায় হারিয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকা পরিদর্শনে যান। শুধু ঘর বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ কয়েকহাজার একর আবাদী জমিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চরের লোকজনের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে গেছে।ঘর বাড়ি হারিয়ে অনেক পরিবার নি:স্ব হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা নানা স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম বলেন, এবারের বন্যায় সিন্দুর্নার অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, চর সিন্দুর্না কমিউনিটি ক্লিনিক ও কয়েকশো একর ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেক পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে।ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরে দেয়া হয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহ বলেন, ক্ষতিক্ষস্তের তালিকা অনুযায়ী ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে – ১৩২টি, পাটিকাপাড়ায় – ৬৭ ও সিন্দুর্নায়- ৪৫টি ঘরবাড়ির নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিক্ষস্তের তালিকা জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ইতোপূর্বে তিনশো মেট্রিকটন চাল বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে।