উজানের ঢল ও টানা দুদিনে বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীর পানি ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করেছে। বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ছুই ছুই,হয়েছে।সকালে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেলেও বিকেল হতে ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। ফলে তিস্তা নদীর তীরবর্তি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.১০ মিটার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার)। যা বিপদসীমার ৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে তিস্তা নদীর তীরবর্তি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮-১০টি চর ও পাশ্ববর্তী কালীগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলার ১০-১৫টি চর এলাকায় পানি উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউল হক জিয়া বলেন, দুদিন ধরে টানা বর্ষণের তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অত্র ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকায় রাস্তাঘাটে পানি উঠায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।