হানিপ্রীতের গোপন জীবনের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

হানিপ্রীতের দুটি ডায়েরি, যার প্রতিটা পাতায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। ব্যক্তিগত জীবন, সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে শুরু করে প্রবাসী অনুগামীদের নাম, পরিচয় কিংবা পঞ্চকুলার হিংসার ব্লু প্রিন্ট, কী নেই তাতে! ছত্রে ছত্রে লুকিয়ে রহস্য। হানিপ্রীতের এই দুটি ব্যক্তিগত ডায়েরি হাতে পাওয়ার পর তাজ্জব বনে গেছেন দুঁদে তদন্তকারীরা। উঠে এসেছে ডেরা সম্পর্কিত আরো অনেক অজানা কথা।

ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি হানিপ্রীতের দুটি ব্যক্তিগত ডায়েরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন, নিয়মিত ডায়েরি লেখার অভ্যাস ছিল হানিপ্রীতের। তা জানতে পেরেই ওই ডায়েরি দুটির খোঁজে নামে পুলিশ। ডায়েরিতে লেখা রয়েছে, পালিত ‘বাবা’ রাম রহিমের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক কেমন ছিল। খুনসুটি, অশান্তি, মান অভিমানের কথাও লেখা রয়েছে তাতে। এ ছাড়াও ডেরার তহবিল সংক্রান্ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন হানিপ্রীত।

ডেরা সচ্চা সওদার বিভিন্ন শাখা থেকে কত আয় হতো, কোন ভক্ত বা অনুগামী কত টাকা অনুদান দিলেন, তা কোন খাতে ব্যবহৃত হলো, তহবিলের টাকা কোন কোন খাতে বরাদ্দ করা হলো, নিত্যদিন এই ধরনের নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিজের পকেট ডায়েরিতে লিখে রাখতেন হানিপ্রীত।

২৫ আগস্ট, পঞ্চকুলায় কীভাবে হিংসা ছড়ানো হবে, তার যাবতীয় বর্ণনাও রয়েছে ওই ডায়েরিতে। সেদিনই রাম রহিমকে আদালতে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। পঞ্চকুলায় হিংসা ছড়ানোর জন্য নিজের তহবিল থেকে পাঁচ কোটি টাকা কাকে দেওয়া হচ্ছে, ডায়েরিতে তাঁর নামও লিখে রেখেছিলেন তিনি। হানিপ্রীতের নির্দেশ অনুযায়ী, ডেরার সভাপতি পি আর নায়েন, ডেরা সচ্চা সওদার পঞ্চকুলার শাখার প্রধান চামকওর সিংকে ওই টাকা দিয়েছিলেন। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

একটি ডায়েরি থেকে জানা গেছে, সালমান খান, আমির খান ও কাজলের ‘ডাই হার্ড ফ্যান’ হানিপ্রীত। কাজলের পোস্টারও কেটে ডায়েরিতে লাগিয়ে রেখেছেন তিনি। ভালোবাসা, বিচ্ছেদ নিয়েও দু’একটি লাইন লিখেছেন। রয়েছে তাঁর মনের কথাও। ডায়েরিতে নিজের আসল নামই লিখেছেন তিনি। রাম রহিমের উদ্দেশে দু’চার কলি গানও লিখেছিলেন তিনি। তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যেই পুলিশ আদালতের নির্দেশ মতো ওই ডায়েরি দুটির ফটোকপি অর্থ দপ্তরের প্রতিনিধিদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।