হারভেস্টার মেশিন ব্যবহারে জামালপুরে পাল্টে যাচ্ছে কৃষির চালচিত্র

সরকার গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে কৃষি ভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ব্যপক ভাবে বেড়েছে। হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার বাড়ায় জেলার কৃষি অর্থনীতির চালচিত্র পাল্টে গেছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।

জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা ধান চাষ সর্মৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলার সর্বত্র ব্যপক ধান চাষ হয়ে থাকে। ধান চাষ বৃদ্ধির সাথে সাথে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বেড়েছে। বিশেষ করে হারভেস্টার মেশিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, রানাগাছা, ইটাইল সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, সরকার কৃষি অর্থনীতি উন্নয়নের লক্ষ্যে হারভেস্টার মেশিন দিয়ে সহায়তার উদ্যোগ নেয়ায় কৃষকের শ্রমিক সংকট অনেকটা কেটে গেছে।

কৃষক জাহাঙ্গীর আলম(৪০) জানান ১বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে শ্রমিক বাবদ খরচ হয় ৬ থেকে ৭হাজার টাকা। আর হারভেস্টার মেশিনে খরচ হয় ১৫০০টাকা। এতে কৃষকের খরচ অনেকটা বেচে যায়। ফলে কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে অনেক লাভবান হচ্ছে।

সরকারের এই সফল কার্যক্রম মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার এতোটাই বেড়েছে য বিগত কোন সময়ে হয়নি। সরেজমিনে মহাদান, ভাটারা, কামরাদ পোগলদিঘা, সাতপোয়া ডাংধরা, পাররামপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে জানা গেছে, হারভেস্টার মেশিনের কারনে কৃষকদের ব্যপক সুবিধা হয়েছে।

শ্রমিক সংকট অনেকটা কেটে গেছে। জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক জানান, হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এ মেশিনের কারনে শ্রমিক সংকট থাকবেনা বললেই চলে।

এ ব্যপারে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি কৃষি বিদ সৈয়দ মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, কৃষকদের স্বনির্ভর করার জন্য একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার সরকারের এক প্রকল্প। এ প্রকল্পের কারনে গ্রামীন অর্থনীতি আজ চাঙ্গা।