হারানো ঐতিহ্য জামালপুরের কামার শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ
গ্রামীন অর্থনীতিকে জাগিয়ে তুলেছে কামার শিল্পীরা। কামার শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকার বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সারাদেশের ন্যায় জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় কামার পূর্নবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কামার শিল্পে প্রান ফিরে আসবে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতি গতিশীল হয়ে পড়বে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা। কৃষির সাথে কামার শিল্পকে একে অপরের পরিপূরক। কামারদের তৈরি কাঁচি, কোদাল, কুঠার, দা, বটি, প্রায় সব পন্য নিত্য প্রয়োজনীয়। এক সময় নান্দিনা, নরুন্দি, শরীফপুর, গোপালপুর, বাজারে কামারদের টং টং শব্দ শুনা যেতো। এখন আর কামারদের শব্দ শুনা যায়না।
এ শিল্পকে জাগিয়ে তুলার জন্য সরাকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এ সম্পর্কে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, কৃষি শিল্প আধুনিকায়ন করার পেছনে কামারদের ভুমিকা বিশাল। কামারদের তৈরি সামগ্রী আগেও ব্যবহৃত হয়েছে এখনও হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কামার শিল্প কে টিকিয়ে রাখা জরুরী। নান্দিনা বাজারের নিমাই কর্মকার জানান, সরকার কামার শিল্পকে টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কামার শিল্প নব যৌবন লাভ করবে।
জেলাপ্রশাসনে এ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে অধিকাংশ কামার নবআঙ্গিকে ব্যবসা করতে পারবে। সরেজমিনে ভাটারা, বাউসী বাজার, শিমলাবাজার, ঝগড়ারচর বাজার সহ আরো বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে বেশ কয়েকজন কামারের সাথে কথা হয় এর মধ্যে চন্দন কর্মকার(৪০) সুজন কর্মকার(৩০) জানান, সরকার যেহেতু কামার শিল্প কে বাচিয়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। কামারদের হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন