হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর উপায়
আমাদের দেহে হার্ট রক্তকে বিশুদ্ধ করে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত শরীরের শিরা উপশিরায় পৌঁছে দেয়। হার্টের কর্মক্ষমতা কমে গেলে হার্ট রেটও কমে যায়, ফলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। জেনে নিন কীভাবে হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব-
* ডিহাইড্রেশন
শরীরে পানির অভাব কমিয়ে দেয় হার্টের কর্মক্ষমতা। দুর্বল করে ফেলে হার্টের পেশি। তাই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন অন্তত ১২ গ্লাস পানি পান করুন।
* ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার
এই উপাদানটি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষত নানাবিধ হার্টের রোগকে দূরে রাখতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, এই উপাদানটি বেশি করে থাকে মাছে। তাই হে বাঙালি ভুলেও মাছ খাওয়া ছাড়লে কিন্তু চলবে না!
* বাদাম বদ রোগকে দূরে রাখে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এক মুঠো করে বাদাম খেলে শরীরে পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দূর হয়, সেই সঙ্গে হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই এবার থেকে কাজের ফাঁকে মুখ চালাতে চিপস নয়, খাওয়া শুরু করুন বাদাম। দেখবেন উপকার মিলবে। তবে মনে রাখবেন বাদামে লবণ দিয়ে কিন্তু খাওয়া চলবে না।
* জাম খেলে সুস্থ থাকে হার্ট
জামে আছে প্রচুর পরিমাণে উপকারি ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং ফাইবার। এই দুটি উপাদান হার্টকে চাঙ্গা তো রাখেই, সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতিতে, ওজন কমাতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রক্তচাপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
* টমেটো
হার্টকে চাঙ্গা রাখতে এই সবজিটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে টমেটোতে উপস্থিত ভিটামিন সি, লাইকোপেন এবং বিটা-ক্যারোটিন হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
* শিম
এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন বি, ফাইবার, মিনারেল এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান, যা হার্টকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই যাদের ফাস্ট ফুড ছাড়া চলে না, তারা মাঝে মধ্যে এই সবজিটি খেতে ভুলবেন না যেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন