হার্ট ছিদ্র ও ভাল্ব আক্রান্ত শিশু মারিয়াকে বাঁচাতে বাবার আকুতি
হার্টে দুইটি ছিদ্র ও ভাল্ব ছোট হওয়াসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ২ বছর ২ মাস বয়সের শিশু কন্যা ফারজানা আক্তার মারিয়া বাঁচতে চায়। অসহায় শিশুটির চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য দেশের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার বাবা মো. লিটন গাজী। লিটন গাজী যশোরের মণিরামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শোলাকুড় গ্রামের বাসিন্দা।
পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সামান্য কয়েক শতাংশ জমিতে কৃষি কাজ ও অপারের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। এরই মাঝে নতুন করে মহাবিপদে দিশেহারা করে ফেলেছে লিটন গাজীকে। তার ২ বছর ২ মাস বয়সের কন্যা শিশুর দুরারোগ্যে ব্যাধি হার্টে ছিদ্র ও ভাল্ব সমস্যা ধরা পড়ে।
প্রথমে ধারদেনা করে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করার পরে অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিটুকু বিক্রি করে বিশেজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করিয়েছেন। কোনো ভাল ফলাফল না পাওয়ায় শিশুটি ‘ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইসস্টিটিউট’-এ নেয়া হয়। সেখানে বিশেজ্ঞ ডাঃ নওরিন আফরিন বর্ষা নানাবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশুটির হার্টে দুটি ছিদ্র শনাক্তসহ ভাল্ব ছোট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন। তাকে বাঁচাতে হলে হার্টে জরুরীভাবে অপারেশন করাসহ ভাল্বের চিকিৎসা করা বিশেষ প্রয়োজন।
ফারজানা বর্তমানে ‘ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইসস্টিটিউট’-এ চিকিৎসাধিন আছেন। অফারেশনসহ তার এ চিকিৎসা ব্যয় বহন করা তাদের দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। লিটন গাজীর ভিটে ছাড়া আর কিছু নেই। অসুস্থ শিশু কন্যা ফারজানা আক্তার মারিয়ার দরিদ্র পিতার পক্ষে এ চিকিৎসা অর্থ জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কোমলমতি এই শিশুর জীবন বাঁচাতে তার বাবা বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-মো. লিটন গাজী, মোবাইল-০১৯৬১৬১৯৮৬৯ (বিকাশ)।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন