হাসপাতালে আমজাদ হোসেনকে দেখতে গেলেন সুচন্দা-ববিতা-চম্পা
ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি আছেন চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি পুরুষ আমজাদ হোসেন। রোববার সকাল ১০টায় তাকে অচেতন অবস্থায় ভর্তি করা হয় এবং আইসিইউতে নেয়া হয়। কিন্তু এখনো তার অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। কাটেনি শঙ্কা। তেজগাঁও ইমপালস হাসপাতালে চার দিন ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন আমজাদ হোসেন। তার চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হাসপাতালে প্রিয় এই মানুষটিকে দেখতে এসে ছিলেন চলচ্চিত্রের ‘তিন কন্যা’ খ্যাত ববিতা, সুচন্দা ও চিত্রনায়িকা চম্পা। বুধবার বিকেলে তিন বোন আমজাদ হোসেনকে দেখতে আসেন তেজগাঁয়ের ইমপালস হাসপাতালে। আমজাদ হোসেনের দুই ছেলের কাছে তার খোঁজ খবর নেন।
চিত্রনায়িকা ববিতা বলেন, ‘চার মাস পর দেশে ফিরলাম। আমি কানাডায় বিমানে ওঠার সময় এই সংবাদ শুনি। তখন থেকেই মনের ভেতর অস্থিরতা কাজ করছে। আমজাদ ভাইয়ের জন্য দোয়া করছি তখন থেকেই। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’ আমজাদ হোসেনকে দেখে এসে সুচন্দা বলেন, ‘আমজাদ ভাই অনেক বড় মাপের এখনজন নির্মাতা ছিলেন। তার কৃতকর্ম যেন কেউ ভুলে না যায়।’
আমজাদ হোসেন নির্মিত বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন ববিতা। এই নির্মাতার সঙ্গে তার প্রথম ছবি ‘নয়নমণি’। মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ববিতা অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় ববিতার ক্যারিয়ারের আরও দুটি উল্লেখযোগ্য ছবি হলো ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৮) এবং ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’ (১৯৭৮)।
আমজাদ হোসেন ১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া নানামাত্রিক কাজের জন্য ১৪ বার জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। একইসাথে বাংলা একাডেমী পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন