হাসিনার দুর্নীতির ফিরিস্তি খুঁজতে যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির ফিরিস্তি খুঁজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নেতৃত্ব যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থা। এছাড়া বিগত সরকারের সময় সুবিধাভোগী শীর্ষ ৯ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানেও যৌথ কমিটি গঠন করেছে দুদক। সেইসঙ্গে সাবেক দুই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পালানোর পর থেকে প্রতিদিনই শেখ হাসিনার নিত্যনতুন দুর্নীতির ফিরিস্তি দৃশ্যপটে আসছে। মেগা প্রকল্পে লুটপাট, প্লট বরাদ্দ কিংবা বিদেশে অর্থ পাচারসহ দুর্নীতির অভিযোগ। এমন প্রেক্ষাপটে দুদকের নেতৃত্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া এস আলম, বেক্সিমকো, বসুন্ধরাসহ বিগত সরকারের সময় সুবিধাভোগী ৯ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে যৌথ টাস্কফোর্সে কাজ করতে প্রত্যেকটির জন্য আলাদা তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে দুদক।
রাজনীতির মাঠে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচিত ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী অবৈধ সম্পদও গড়েছেন সমানতালে। দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, ৩১০০ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন ও ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন নিক্সন দম্পতি। আর ৪৪১ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আশরাফ খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
দুদক মহাপচিালক জানান, সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের অস্বাভাবিক লেনদেনের পেছনে কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন