হাসিনার মামলা ঘিরে ট্রাইব্যুনালের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

শেখ হাসিনার মামলা ঘিরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৬ জুন) সকালের দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এদিন সকাল আনুমানিক ৭ টার দিকে হাইকোর্ট গেটের বাহিরে কে বা কাহারা ২টি ককটেল ছুড়ে। যার একটি মাজার গেটের বাহিরে বিস্ফোরিত হয় এবং আরেকটি আব্দুল গনি রোড থেকে দোয়েল চত্ত্বর যাওয়ার দিকে অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার আজ শুনানি হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। তার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও এই মামলার আসামি। এই মামলার শুনানি আজ দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে। এমন একটি মামলার শুনানির হওয়ার আগে সকালে ট্রাইব্যুনালের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রথম মামলাটি (মিস কেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
পরে এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকেও (গণঅভ্যুত্থানের সময় আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন) আসামি করা হয়। ৬ মাস ২৮ দিনে তদন্ত শেষ করে গত ১২ মে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন