হিন্দু নারীকে বিয়ে করতে এসে গণপিটুনির শিকার মুসলিম যুবক

এক হিন্দু নারীকে বিয়ে করতে এসে আদালত চত্বরে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক মুসলিম যুবক।ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে।

সোমবার দুপুরে নিজেদের কোর্ট ম্যারেজ সারতেই আদালতে যান তারা। এসময়ই ওই যুবককে ঘিরে ধরে একদল ব্যক্তি মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভাঙচুর করা হয় তাদের গাড়িটিকেও। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মারধরের সেই ছবিটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।

ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, জিন্সের প্যান্ট ও বাদামী রঙের একটি জামা পরিহিত এক যুবককে ৬-৭ জন ব্যক্তি টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের পিছনে আরও বেশ কিছু মানুষ হাঁটছেন। একটু পরেই উত্তেজিত জনতা ওই মুসলিম যুবককে ঘিরে ধরে তার ওপর চড়-থাপ্পড় মারছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসা না পর্যন্ত তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

তবে এই ঘটনায় ওই যুগলের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দায়ের করা না হলেও স্থানীয় সিহানী গেট থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি গণপিটুনির অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭ (দাঙ্গা), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় হামলা), ৪২৭ (সম্পত্তি নষ্ট)-ধারায় মামলা করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।

এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্জয় পান্ডে জানান, বিনোদ ও নবনীত-নামে দুই যুবকসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে তবে কাউকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাকিল খান (২৪) নামে ওই মুসলিম যুবকের বাড়ি নয়ডার সালারপুরে অন্যদিকে প্রীতি সিং নামে হিন্দু নারী উত্তরপ্রদেশের বিজনোরের বাসিন্দা।

নয়ডা’র একটি বেসরকারি ফার্মে কর্মসূত্রেই তারা দু’জন একে অপরের প্রেমে পড়েন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণেই নয়ডার পরিবর্তে গাজিয়াবাদের একটি আদালতে কোর্ট ম্যারেজ করতে আসেন তারা। কিন্তু সেই খবর কোন ভাবে বাইরে চলে আসে।

যদিও ওই নারীর বিরুদ্ধে কোন হামলা হয়নি। ওই যুবককে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই যুবক।