মাঘের শীত বাঘের গায়

হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত

কথায় আছে- মাঘের শীত বাঘের গায়। বিভিন্ন জেলাজুড়ে গেলো কয়েক বছরের মধ্যে এবারের চলতি মৌসুমের শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

শৈত্যপ্রবাহের সাথে কুয়াশা আর মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় অনেকটা অলসতা ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে অনেকের মাঝে। ঠান্ডায় হাত-পা আড়ষ্ট হয়ে পড়ে।

গত কয়েকদিনের শীতের বৈরীতার পর সোমবার (১৫ জানুয়ারী) দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাইরের পরিবেশ ছিলো গুমোট। দৈনন্দিন কাজে স্থবিরতা লক্ষ্য করা যায়। দোকানপাট, বাড়িঘর, বিভিন্ন অফিসে লাইট জ্বালিয়ে কাজকর্ম করতে হয়েছে।

চা দোকানী আব্দুর রহিম, সবজি দোকানী লিটনসহ কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, তীব্র শীতে মানুষজন আড়ষ্ট হয়ে পড়েছে। বেচাকেনা তেমন নেই।

ভ্যানচালক মনি, রাজমিস্ত্রীর জোগাড়ী ইসলাম, দৈনিক কামলা হিসেবে জন দেয়া অলিয়ারসহ কয়েকজন ব্যক্তি জানান, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের সংসার চালাতে চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার উপর শীতের তীব্রতায় আমরা কষ্টে। তবু জীবন ও সংসার চালাতে হাড় কাঁপানো শীতে পেটের দায়ে কাজ করতে হচ্ছে।

শীতের গরম পোশাক স্বল্পতার কথা জানিয়েছেন কয়েকজন প্রান্তিক অসহায় ও দুস্থ ব্যক্তি। তারা জানান, আমাদের যে পোশাক আছে তাতে এতো শীত মানাচ্ছে না। খুব কষ্টে আছি। সরকারি বা কোন রাজনৈতিক দলের নেতারা এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা প্রদান করেননি।

এদিকে, কুয়াশামাখা ভোরে মাথায় মাফলার মুড়িয়ে, গায়ে চাদর পেঁচিয়ে নিত্যদিনের কাজে বের হতে দেখা গেছে অনেককে। তারা জানান, ঠান্ডা মৃদু বাতাসে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।

সবমিলিয়ে হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটাই জড়সড় ও বিপর্যস্থ হয়ে পড়তে দেখা গেছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, অচিরেই তাপমাত্রা বেড়ে শীত কমতে পারে।