হেফাজতের তাণ্ডবে বড় ভূমিকা তারেকের : ইকোনমিক টাইমস
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলাম যে আন্দোলন করেছে, তাতে বিএনপি-জামায়াত এবং পাকিস্তানের অর্থায়ন ছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় দৈনিক ইকোনমিক টাইমস।
তারা বলেছে, এই আন্দোলন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছেন লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান।
ঢাকার সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে ইকোনমিক টাইমস এ তথ্য দিয়েছে। দীপাঞ্জন রায় চৌধুরীর লেখা এ প্রতিবেদন শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দৈনিকটির অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক সরকার উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিলেন, যেখানে বিরোধীদল বিএনপি, জামায়াত এবং পাকিস্তানের সহায়তা ছিল।
গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়। ১৯ এপ্রিল তাকে একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবসহ বিভিন্ন ঘটনায় ১৭টি মামলা রয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। এছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরবিরোধী আন্দোলনের সময় সহিংসতার মূলহোতা হিসেবেও মামুনুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে হেফাজত যে সহিংসতা চালিয়েছে, তা বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে শলাপরামর্শের ভিত্তিতেই হয়েছে। আর তহবিল এসেছে পাকিস্তান থেকে। আফগানিস্তানে (তালেবানদের পক্ষ হয়ে) যুদ্ধ করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জিহাদিদের সঙ্গেও মামুনুলের যোগাযোগ রয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুলই এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
পুলিশের হাতে কিছু নথিপত্র এসেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, মোদির ঢাকা সফরের এক মাস আগেই দেশজুড়ে নাশকতা চালানোর ছক কষা হয়। সেই ছক অনুসারে উপাসনালয়, আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের নির্দেশনা দেয়া হয়। আর এই নাশকতা চালানোর অর্থ প্রথমে আসে পাকিস্তান থেকে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যে থাকা কিছু প্রবাসী বাংলাদেশিও সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-আন্দোলনে রসদ যোগাদে অর্থ পাঠান।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইকোনমিক টাইমস তাদের প্রতিবেদনে দাবি করে, হেফাজতের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী নিয়মিতই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে লন্ডনে থাকা খালেদার ছেলে (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন) তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন বাবুনগরী ও মামুনুল। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা ছিল তারেকের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে হেফাজতের ২০১৩ সালের তাণ্ডবের ঘটনায় খালেদা জিয়াসহ অন্যদের আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করা যায় কি-না, সে বিষয়ে তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন