হেলমেট পরা নিয়ে দুই ওসির হাতাহাতি!

হেলমেট না পরায় আবগারি দফতরের ওসিকে জরিমানা করেন ট্রাফিক পুলিশের ওসি। আর তা নিয়ে রাস্তার উপরেই দু’জনের মারামারি আর বিবাদ গড়াল প্রায় আধাঘণ্টা ধরে।

পরে দু’জনই একে অপরের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত অবস্থায় মারধরের অভিযোগ তুলেছেন। খবর আনন্দবাজারের।

ভারতের রায়গঞ্জ জেলা আদালত থেকে কাজ সেরে বৃহস্পতিবার মোটর সাইকেলে করে কর্ণজোড়া এলাকায় নিজ কার্যালয়ে ফিরছিলেন আবগারি দফতরের রায়গঞ্জের ওসি অংশুমান চক্রবর্তী। এ সময় তার মাথায় হেলমেট ছিল না।

ট্রাফিক পুলিশের রায়গঞ্জের ওসি জামালুদ্দিন আহমেদ শিলিগুড়ি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ের সামনে দাঁড় করিয়ে তার কাছে ১০০ টাকা জরিমানা দাবি করেন। দু’জনেই সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার।

অংশুমানের দাবি, তিনি ভুল স্বীকার করে নিজের পরিচয় দিয়ে জরিমানা না করতে জামালুদ্দিনকে অনুরোধ করেন। কিন্তু জামালুদ্দিন সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে তিনি কত বড় অফিসার, তা দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন।

অংশুমান বলেন, এরপরেই জামালুদ্দিন আমার বাইকের সিটে ডান পা তুলে এটি বাজেয়াপ্ত করার হুমকি দেন। আমি প্রতিবাদ করতেই তিনি আমার জামার কলার ধরে টানতে টানতে গালে চড় মেরে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে ঢোকানোর চেষ্টা করেন।

জামালুদ্দিনের সাফ কথা, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। তিনি আরও বলেন, হেলমেট না পরায় ওই অফিসারের কাছে জরিমানা চাইতেই তিনি আবগারি দফতরের নাম করে আমাকে হুমকি দিয়ে আমার কলার টেনে ধরে ধাক্কাধাক্কি করেন।
এরপর হেলমেট না পরার অভিযোগে অংশুমানের কাছ থেকে ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন জামালুদ্দিন। ওই ঘটনার পর অংশুমান উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের কাছে জামালুদ্দিনের বিরুদ্ধে তাকে কর্তব্যরত অবস্থায় মারধরের অভিযোগ জানিয়েছেন।

জামালুদ্দিনও রায়গঞ্জ থানায় অংশুমানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, অংশুমান মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আবগারি দফতরের জেলা সুপারিনটেন্ডেন্ট তপনকুমার মাইতির বক্তব্য, কেউ ট্রাফিক আইন অমান্য করলে পুলিশ মামলা বা জরিমানা আদায় করতেই পারেন। কিন্তু পুলিশ কখনই কাউকে হেনস্থা বা মারধর করতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, অংশুমানকে ট্রাফিক পুলিশের ওসির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছি।