হ্যাটট্রিক জয় পেলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ

লালমনিরহাট-২ আসনে ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। এই আসনে নিজ বড় ভাই নুরুজ্জামানকে হারাতে— স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সিরাজুল হকের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন তারই ছোট ভাই কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। তবে তা সত্ত্বেও সমাজকল্যাণমন্ত্রী জয় পেয়েছেন। এরমাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

এবারের নির্বাচনে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ৯৭ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সিরাজুল হক পেয়েছেন ৫১ হাজার ৩৩৮ ভোট। এই আসনে সংসদ সদস্য হতে আরও লড়াই করেছিলেন ডাব প্রতীকের দেলাব্বর হোসেন, লাঙ্গল প্রতীকের দেলোয়ার হোসেন ও ট্রাক প্রতীকের মমতাজ আলী।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর বিভিন্ন বিষেদাগার করেছিলেন তার ছোট ভাই। এমনকি তার মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটকে ‘ভুয়া’ হিসেবে দাবি করেছিলেন তিনি।

অপরদিকে লালমনিরহাট-১ আসনে (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৯ শত ৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৩২ ভোট ।

এই আসনে অন্য যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তারা হলেন— আমজাদ হোসেন তাজু (ট্রাক), আজম আজাহার হোসেন (মোমবাতি), হাবিব মোহাম্মদ ফারুক (মশাল)।

আর লালমনিরহাট-৩ আসনে মতিয়ার রহমান নৌকা প্রতীকে ৭৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের মো. জাবেদ হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৮০৮ ভোট। এ আসনে অন্য যারা প্রতিদ্বন্দ্বীরা করেছেন তারা হলেন— মো. আশরাফুল আলম (চাকা), শামীম আহাম্মেদ চৌধুরী (সোনালী আঁশ), মো. জাহিদ হাসান (লাঙ্গল), আবু তৈয়ব মো. আজমুল হক পাটোয়ারী (মশাল)।