হ্যান্ডবল খেলায় কলারোয়ার মেয়েরা ৩ বার সাতক্ষীরা জেলা চ্যাম্পিয়ন

ক্রিকেট, ভলিবল ও ফুটবলের পর এবার হ্যান্ডবল খেলায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখলো সাতক্ষীরার কলারোয়া। তাও আবার কলারোয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েরা। টানা তিনবার জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তারা আবারো অংশ নিতে যাচ্ছেন খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে। কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর সৈয়দ কামাল বখত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মেয়েরা এ গৌরব অর্জন করে চলেছে। বিভাগীয় ও দেশসেরা হতে এখন শুধু তাদের দরকার আরো একটু ক্রীড়াঙ্গনের প্রাতিষ্ঠানিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা।

জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে গ্রীষ্মকালিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার হ্যান্ডবল ইভেন্টে জোন পর্যায়ে ও উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসছে রামকৃষ্ণপুর গালর্স হাইস্কুলের ছাত্রী খেলোয়াড়রা। গেলো ৩ বছরে ৩বারই সাতক্ষীরা জেলা পর্যায়েও চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। আগামি ১৭, ১৮ ও ১৯ অক্টোবর খুলনায় উপ-অঞ্চল পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছে তারা।
প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মেয়েদের এমন অভাবনীয় কৃতিত্বের পিছনে যাদের অবদান অন্যতম তারা হলেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনসুর আলী, ক্রীড়া শিক্ষক মো.আবুল হোসেন ও কোচ সাজিদুল করিম তপু। এছাড়া সার্বিকভাবে তত্ববধায়ন ও অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছেন কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জহুরুল ইসলাম।

হ্যান্ডবল টিমের খেলোয়াড় ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সালমা খাতুন বলেন, ‘ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ৩বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। খুলনায় বিভাগীয় পর্যায়ে খেলতো যাবো। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলার নতুন নতুন অনেক কিছু শিখছি।’

টিমের অধিনায়ক ১০ শ্রেণির ছাত্রী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট আরো সহযোগিতা পেলে আমরা আরো উন্নতি করতে পারবো বলে আশা করি।’

এ বিষয়ে রামকৃষ্ণপুর গালর্স হাইস্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক মো.আবুল হোসেন বলেন, ‘মফস্বল গ্রামে স্কুল তারপরেও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি মেয়েদেরকে বিভিন্ন ক্রীড়াঙ্গনে মানোন্নয়নের।’

রামকৃষ্ণপুর গালর্স হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মনসুর আলী বলেন, ‘আমরা গ্রামের বাচ্চাদের অনেকটা অনিচ্ছা থাকা সত্বেও তাদের উৎসাহ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে ভালো অবস্থানে নিতে সক্ষম হয়েছি।’

হ্যান্ডবল টিমের কোচ সাজিদুল করিম তপু বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ভালো কিছু করার। সরকারি সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে হ্যান্ডবল খেলায় কলারোয়া অঞ্চল জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে পারে বলে বিশ্বাস করি।’

কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েদের উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করি। তাদের প্রতি সহযোগিতা ও শুভকামনা রইলো। বিভাগীয় পর্যায়ে হার-জিত যাইহোক তাদের পাশে থাকবো।’