১০ম গ্রেডে উন্নীতের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অডিটরদের

বৈষম্যমুক্ত অডিট এন্ড একাউন্টস ডিপার্টমেন্ট গড়তে উচ্চ আদালতের রায় এবং মাননীয় আইন উপদেষ্টার ইতিবাচক মতামতের প্রেক্ষিতে ২৩/১২/২০১৮ খ্রি. তারিখ হতে অডিটর-১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ডিস্ট্রিক্ট একাউন্টস্ এন্ড ফিন্যান্স রাঙ্গামাটি অফিসের অডিটরবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কথা হয় রাঙামাটি অফিসের ডিস্ট্রিক্ট একাউন্টস্ এন্ড ফিন্যান্স অডিটর সুফলা চাকমা, চিংথোয়াই প্রু মারমা, প্রদীপ চাকমা, শুভ্রজা রায় ও বিবৃতি চাকমা’র সাথে।

তারা বলেন, একই পদে দুই ধরনের বৈষম্যমূলক বেতন গ্রেড বিদ্যমান। আমাদের দাবী অডিটরদের গ্রেড বৈষম্য দূর করে ১১ থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা।

২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করা রিট পিটিশনের রায় সিএজি ও অধীন অফিসের পদকে ১১তম গ্রেড থেকে দশম গ্রেডে উন্নত করার পক্ষে রায় দেন। পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ শুধু ৬১ জন মামলার পক্ষভুক্ত রিট পিটিশনারকে ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার আদেশ প্রদান করে। শুধুমাত্র রিটকারী ৬১ জন অডিটরের পদকে ১১তম গ্রেড হতে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে স্পষ্টতই বৈষম্যের সৃষ্টি করে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯ (১) অনুচ্ছেদ মোতাবেক, কর্মক্ষেত্রে কারও প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না। সংবিধানের ১০৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য আদালত কর্তৃক মীমাংসিত ইস্যু বাস্তবায়ন করা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সেই প্রেক্ষিতে অডিটর পদটিকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ না করা সংবিধানের উক্ত অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আদালতের আদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক অর্থ মন্ত্রণালয় অডিটর পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে দ্রুত “জি.ও.” জারির মাধ্যমে বৈষম্যহীন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবেন।

অধিকার আদায়ে সারা দেশের সিএজি’র কাঠামোভূক্ত সকল নন-ক্যাডার কর্মকর্তা- কর্মচারি অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। আমরা আমাদের কর্মে ফিরে যেতে চাই। আমরা আমাদের অধিকার আদালতের রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন অর্থাৎ অতি দ্রুত ‘অডিটর’ পদটি ১০ম গ্রেডে বাস্তবায়ন চাই।

উল্লেখ্য যে বর্তমানে আমাদের এই চলমান শান্তিপূর্ন অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেও জরুরি সেবা (পেনশন, জিপিএফ, বেতন-ভাতাদি ও উৎসব বোনাস) কার্যক্রম চালু রেখেছি।