১০ লাখ ছাড়িয়েছে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন

১০ লাখ ছাড়িয়েছে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন। সর্বশেষ তথ্যে এ হিসাব পাওয়া গেছে।

উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে অবস্থান নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ছয়টি সেন্টারের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর এ নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।

পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাকের হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০ লাখ চার হাজার ৬০০ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুর বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।

‘যত দিন পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকবে, তত দিন বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কার্যক্রম চালু থাকবে,’ যোগ করেন পাসপোর্ট কর্মকর্তা।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গতকাল কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ৬১০ জন পুরুষ, ৫০৩ জন নারী মিলে এক হাজার ১১৩ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে এক হাজার ২৫৩ জন পুরুষ, ৯৯৭ জন নারী মিলে দুই হাজার ২৫০ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ১৬৪ জন পুরুষ, ১৬১ জন নারী মিলে ৩২৫ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ১১১ জন পুরুষ, ৮৪ জন নারী মিলে ২৯৫ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ১৪১ জন পুরুষ, ১৩৯ জন নারী মিলে ২৮০ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ৭৭৩ জন পুরুষ, ৭৩৫ জন নারী মিলে এক হাজার ৫০৮ জন।
এদিন ছয়টি কেন্দ্রে মোট পাঁচ হাজার ৫৭১ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিক সংখ্যা ছয় লাখ ৭৩ হাজার ৪১০ জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে।

গত বছরের ২৫ আগস্টের আগে আসা মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা দুই লাখ চার হাজার ৬০ জন।