১১ বছরে হিজড়া জনগোষ্ঠীর উপকারভোগী ৫৮ হাজার

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় গত ১১ বছরে সারা দেশে হিজড়া জনগোষ্ঠীর উপকারভোগীর সংখ্যা ৫৮ হাজার ৪৮৩ জন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপমতে সারা দেশে হিজড়ার সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এক ব্যক্তি বারবার উপকৃত হওয়ায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর তুলনায় উপকারভোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচগুণ। ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১১ হাজার ৮৪২ জন হিজড়া শিক্ষার্থী মাসিক হারে (প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ১ হাজার টাকা ও উচ্চতর স্তরে ১ হাজার ২০০ টাকা) শিক্ষা উপবৃত্তি পেয়েছেন।

এ সময়ে ৫০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের ২২ হাজার ৪৫১ জন মাসিক ৬০০ টাকা হারে বিশেষ ভাতা পেয়েছেন। এ ছাড়া সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হলো, হিজড়া জনগোষ্ঠীকে আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে তাদের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা। গত ১১ বছরে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ১৬ হাজার ৭৮০ জনকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

এর মধ্যে ৭ হাজার ৪১০ জনকে প্রশিক্ষণ- পরবর্তী এককালীন ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। হিজড়া সম্প্রদায় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ।

আবহমানকাল থেকেই এ জনগোষ্ঠী অবহেলিত ও অনগ্রসর। এই জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন শুরু
হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২১ জেলায় এ কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে দেশের সকল জেলায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবছর হতে এ কর্মসূচির ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তির নগদ সহায়তা জিটুপি পদ্ধতিতে উপকারভোগীর মোবাইল হিসাবে প্রেরণ করা হচ্ছে।