১২ কিমি. হেঁটে আসা ছোট্ট শিশুকেও ছাড়েনি ই.স.রা.ই.ল

অবরুদ্ধ গাজার ছোট্ট শিশু আমির। একটু খাবারের আশায় হেঁটেই পাড়ি দিয়েছে ১২ কিলোমিটার পথ। হয় তো আশা ছিল-পরিবারের সবার মুখে দুবেলা খাবার তুলে দেবে। কিন্তু ইসরাইলের নৃশংসতা থেকে রেহাই পেল না সেও। দখলদার বাহিনীর হিংসাত্মক বুলেট ভেদ করেছে আমিরের হৃদয়কে। ত্রাণ পাওয়ার কয়েক মিনিট পরই ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয় শিশুটি।
মার্কিন সেনাবাহিনীর বিশেষ শাখার সাবেক এক কর্মকর্তার বর্ণনায় উঠে এসেছে সেই ভয়াবহ চিত্র। এই কর্মকর্তা গত মাসে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) থেকে পদত্যাগ করেন।
আগুইলার বলেন, ‘ছোট্ট আমির খালি পায়ে একটি ছেঁড়া জামা পরে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। তার হাড্ডিসার শরীরে থাকা ছেঁড়া-ফাটা কাপড় যেন ঝুলে ঝুলে পড়ে যাচ্ছিল। সে ১২ কিলোমিটার পথ হেঁটে সেখানে (ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে) এসেছিল। সেখানে পৌঁছানোর পর সামান্য যে খাবার ও উচ্ছিষ্ট পেয়েছিল, সেজন্য সে আমাদের ধন্যবাদ জানায়।’
আইগুলার বলতে থাকেন, ‘সে (আমির) খাবারের প্যাকেটগুলো মাটিতে নামিয়ে রাখল। কারণ, তখন আমি হাঁটু গেড়ে বসে ছিলাম। তার হাত দুটো বাড়িয়ে আমার গালের দুই পাশে রাখে। সেই হাতগুলো ছিল খুব দুর্বল, হাড্ডিসার, ময়লা। আর সেগুলো দিয়ে সে আমার মুখ ছুঁয়ে দেখে এবং আমাকে চুমু দেয়। ও আমাকে চুমু দিয়ে ইংরেজিতে বলে ‘থ্যাংক ইউ’। এরপর সে জিনিসগুলো নিয়ে তার দলের কাছে ফিরে যায়।’ এর পরপরই ইসরাইলি বাহিনী সেখানে উপস্থিত থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাতে থাকে।
আইগুলার বলেন, তখন আমিরের দিকে মরিচের গুঁড়ার স্প্রে, কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছোড়া হয়। তার পায়ের কাছে ও আকাশের দিকে তাক করে গুলি চালানো হয়। সে ভয়ে দৌড় দেয়। এর পরেই গুলিবিদ্ধ হয়ে একে একে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে থাকেন গুলিবিদ্ধরা। আমির ছিল তাদেরই একজন।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন