ডামি প্রার্থীর পর এবার ডামি ভোটার
১২ কোটি ভোটারের ফল এক ব্যক্তির ইচ্ছায় নির্ধারিত হয়ে গেছে: মঈন খান
আগামী ৭ জানুয়ারি এক ব্যক্তির ইচ্ছায় নির্বাচন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ১২ কোটি ভোটারের ফলাফলও এক ব্যক্তির ইচ্ছায় নির্ধারিত হয়ে গেছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) গুলশানের বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মঈন খান বলেন, ডামি প্রার্থীর পর এবার ডামি ভোটার নিশ্চিতের পাঁয়তারা চলছে। সারা দেশে চলছে ভোটার উপস্থিতিতে হুমকি-ধামকি। সংবিধান লঙ্ঘন করে ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, চাপ দেয়া হচ্ছে। ভাতাকার্ড ও ভোটার আইডি কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সরকারি সুবিধাভোগী ভোটারদের বাধ্য করা হচ্ছে ভোট দিতে।
তিনি বলেন, ভাতাভোগী, সরকারি চাকরিজীবীদের ভোট নিশ্চিত করতে নানা ফন্দি আঁটা হচ্ছে। ছাত্রলীগ দিয়ে জাল ভোট দেয়ার মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল ও সব শ্রেণী পেশার মানুষ বর্জন করেছে। এই নির্বাচন সরকারের দেউলিয়াত্বের প্রতীক। এক ব্যক্তির ইচ্ছায় এই নির্বাচন ও ফলাফল হতে যাচ্ছে। ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, গ্রামে-গঞ্জে ভোটারদের হুমকি দেয়া হচ্ছে, সরকারি ভাতা নেয়া বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা বন্ধের হুমকি দেয়া হচ্ছে। ২০ লাখ সরকারি চাকরিজীবীদের পোষ্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। অথচ প্রবাসী বাংলাদেশীরা বহু বছর ধরে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার কথা বললেও বাস্তবায়ন হয়নি। আনসার ভিডিপি’র কর্মরতদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে পরিবারসহ ভোট দিতে। সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে।
মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি আহ্বান সরকারের হুমকি ধামকিতে চিন্তিত হবেন না। যারা ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে চায় তাদের চিহ্নিত করুন। সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে, তাই তাদের আর ভয় পাওয়ার কারণ নেই। যারা কারচুপির নির্বাচনে সহায়তা করছে তারা ভবিষ্যতে বিচারের আওতায় আসবে। সর্বজনীন ভোট বর্জনের মাধ্যমে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শিগগিরই বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পাবে।
বিদেশে সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, সরকারকে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় সরিয়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করা হবে। ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের জয় নয়, পরাজয়ের দিন হবে। সেদিন গণতন্ত্রের নতুন করে অপমৃত্যু হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন