১২ সেপ্টেম্বর থেকে যবিপ্রবিতে সশরীরে পরীক্ষা শুরু

১২ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সশরীরে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
ইতোমধ্যে যে সকল শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে অবস্থান করতে ইচ্ছুক তাদেরকে করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে হলে সিট দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ও তাঁদের কর্মজীবনে প্রবেশের পথ সুগম করতে গত ২৮ আগস্ট যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, চেয়ারম্যানবৃন্দ, প্রভোস্টবৃন্দ, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সমন্বয়ে এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এক্ষেত্রে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে সকল শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে অবস্থান করতে ইচ্ছুক, তাঁদেরকে স্ব স্ব বিভাগীয় চেয়ারম্যান বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে হলে অবস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের প্রাক্কালে শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়।

যবিপ্রবি শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ বলেন, ‘আমরা গতকাল সকাল ১০টায় কোভিড-১৯ পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করিয়েছি। তাদের প্রত্যেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতি রুমে একজন করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও তাদের জন্য হলে ভিতরেই তিন বেলা খাবারের বাবস্থা করা হয়েছে। হলে প্রবেশের পর থেকে পরীক্ষা শেষ অবধি কোন শিক্ষার্থী যবিপ্রবি কাম্পাসের বাইরে যেতে পারবে না এবং তাদেরকে সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কোন শিক্ষার্থী যদি যবিপ্রবি প্রসাশনের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে সেক্ষেত্রে আমরা তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বাবস্থা গ্রহণ করব।’

উল্লেখ্য পরীক্ষা চলাকালীন হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের একদিন পরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। কোনো শিক্ষার্থীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসলে, তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধিমেনে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরবর্তীতে তিনি সুস্থ হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক তাঁর পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে। ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থানকারী পরীক্ষার্থীদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবহনের আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে।

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনা করে পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সকল চিকিৎসক, নার্স ও মেডিকেল স্টাফদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।