১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রস্তুত হবে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা

আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রস্তুত করা হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক আনুগত্য আছে, কিংবা বিতর্কিত কারো নাম তালিকাবদ্ধ না করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

তবে অভিজ্ঞদের প্রাধান্য দিতে কমিশনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে বিশেষ বার্তা। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণের পাশাপাশি প্রস্তাবিত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ আমলে নিতে ইসির প্রতি পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ধরা হয়েছে ৪০ হাজার ১৯৯টি। আর ভোটকক্ষ প্রায় দুই লাখ। নিয়মানুযায়ী, প্রতি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন একজন প্রিজাইডিং অফিসার।

আর ভোটকক্ষপ্রতি একজন সহকারী প্রিজাইডিং এবং দুইজন করে পোলিং অফিসার। সবমিলিয়ে এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে ৭ লাখেরও বেশি।

প্রচলিত নিয়মে, সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের দায়িত্ব দেয়া হয় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে। তাদের তালিকা তৈরির কাজ এরইমধ্যে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।

কমিশন সচিব জানান, এ মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে যাবে প্রাথমিক তালিকা। এক্ষেত্রে কোনো বিতর্কিত কিংবা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম না পাঠাতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়ার কথাও জানান তিনি।

শুধু নির্দেশেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরিতে কমিশনকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পরিস্থিতি প্রতিবেদন পাঠানো ও অন্যান্য কাজের জন্যও প্রস্তুত করা হবে আলাদা আরেকটি তালিকা।