১৯ ডিসেম্বর পাবনার ঈশ্বরদী হানাদার মুক্ত দিবস
১৯ ডিসেম্বর পাবনার ঈশ্বরদী হানাদার মুক্ত দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে ঈশ্বরদীর সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম ঈশ্বরদী শহরে এসে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা শুরু করেন।
মুক্তিযুদ্ধকালে কোম্পানী কমান্ডার (পাবনা) এডভোকেট কাজী সদরুল হক সুধা জানান, উত্তাল ’৭১-এর এপ্রিল থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঈশ্বরদীতে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন ২৭জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২৯ মার্চ মাদপুরের যুদ্ধ, ৬ নভেম্বর খিদিরপুরের এবং ১১ ডিসেম্বর জয়নগরেরযুদ্ধসহ অন্যান্য গেরিলা যুদ্ধে তারা শহীদ হন।
এসব যুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর প্রায় ৪০ সদস্য মারা যায়। এর আগে ১১ এপ্রিল শহরের নূর মহল্লা ও ফতেমোহাম্মদপুর এলাকায় ৩২জন বাঙালী এবং একটি হিন্দু পরিবারের ১১ সদস্যকে নির্মমভাবে পাক হানাদার বাহিনী হত্যা করে।
পাবনার ঈশ্বরদী বিমান বন্দর, দেশের অন্যতম বড় রেলওয়ে জংশন, তৎকালীন সাঁড়ার বৃহৎ নদীবন্দর এবং সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে উত্তর-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ঈশ্বরদী কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনারা ঈশ্বরদীতে শক্ত অবস্থান নেয়। দীর্ঘ ৯ মাস তাদের সঙ্গে যুদ্ধের পর ১৯ ডিসেম্বর পুরোপুরি শত্রæমুক্ত ঘোষণা করা হয় ঈশ্বরদীকে।
তখন থেকে ১৯ ডিসেম্বর এই দিনটিকে ঈশ্বরদী হানাদার মুক্ত দিবস হিসাবে স্থানীয় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিস ও উপজেলা আওয়ামীলীগ বিভিন্ন কর্মসূচীতে দিবসটি পালন করছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন