১ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই : ন্যাপ মহাসচিব
মুক্তির নায়কদের সম্মান জানাতে ১ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একসাগরের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ও লাল-সবুজের পতাকা প্রতিষ্ঠিত করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বার্ধক্যের কারণে দিনে দিনে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কমছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণীয় করে রাখতে বিজয়ের মাসের প্রথম দিনটি মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবী যৌক্তিক।
মঙ্গলবার (১ ডিসম্বর) নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলার নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ আর কষ্টে জন্ম বাংলাদেশের। অথচ সেই মুক্তির নায়কদের সম্মান ও স্মরণ করার নির্দিষ্ট একটি দিন নেই বাংলাদেশে। ২০০৪ সাল থেকে ১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সরকারের সংশ্লিষ্টরা দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করলেও দেড় দশক ধরে উপেক্ষিত রয়েছে এই দাবি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই এই দাবির বাস্তবায়ন করা উচিত। বিজয়ের মাসের প্রথম দিন ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা সরকারের উচিত। দেশমাতৃকার বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের এখনও যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে না। ১ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালনের যে দাবি উঠেছে এই দাবি যৌক্তিক।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, আমরা প্রতিদিন কত দিবসই পালন করি। তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও একটি দিবস থাকলে তারা আরও বেশি সম্মানিত হবেন। মুক্তিযুদ্ধ দিবস জাতীয়ভাবে পালন করতে পারলে নতুন প্রজন্ম অন্ত:ত এই দিনটিতে হলেও দেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বর্তমান সরকার দীর্ঘ সময়েও মুক্তিযোদ্ধাদের এই দাবি মেনে না নেয়া দু:খজনক ও হতাশা ব্যঞ্জক।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা, একটি স্বাধীন দেশের জন্য কতটা ত্যাগ-তিতিক্ষা-মূল্য দিতে হয়েছে সেই ইতিহাস তুলে ধরার জন্য মুক্তিযোদ্ধা দিবস প্রয়োজন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. জসিমউদ্দিন মাহমুদ তালুকদার, জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ সানাউল্লাহ-সহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন