২০১৪ আর ২০১৮ এক নয় : মওদুদ
২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচন বিএনপিকে ছাড়া করতে পারলেও এবার আর সেটা সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপির বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে এমন সম্ভাবনার মধ্যে তিনি বলেছেন, ২০১৪ আর ২০১৮ সালের পরিস্থিতি এক নয়।
দশম সংসদ নির্বাচনের চার বছর পূর্তিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় বিএনপি নেতা এ কথা বলেন। ‘৫ জানুয়ারির কলঙ্কিত নির্বাচন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।’
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে সহিংস আন্দোলনে ছিল বিএনপি। কিন্তু বিরূপ পরিস্থিতিতেও ভোট করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আর চার বছর দাপটের সঙ্গে সরকারও চালাচ্ছে তারা।
যে দাবিতে বিএনপি ২০১৪ সালের ভোট বর্জন করেছিল, সেই তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকার এবারও থাকবে না বলে জানিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। আর আন্দোলন করে কোনো ফল হবে না এটা জানিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচনের উদাহরণও টানছেন তারা।
মওদুদ বলেন, ‘২০১৪ এবং ২০১৮ এক নয়। আমরা নির্বাচন করব সেজন্য প্রস্তুতি নেব। কিন্তু উপযুক্ত সময়ে কর্মসূচিও দেবো।’
গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে বলেও মনে করেন বিএনপির এই নেতা। বলেন, ‘সমঝোতার পথে এরা যাবে না। একমাত্র বিকল্প হলো রাজপথ।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনকে সরকার সংবিধান রক্ষার নির্বাচন বলে। কিন্তু ওই নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক হয়নি।’ সেদিন কোনো নির্বাচন হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন।’
আওয়ামী লীগের ‘রাজনৈতিক কেমিস্ট্রির মধ্যে’ গোলমাল আছে দাবি করে মওদুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবদান থাকলেও স্বাধীনতার পর তাদের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তারা এখন অবলীলায় মিথ্যা কথা বলছে। মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে বিরোধী দলকে দমন করছে।
৫ জানুয়ারি রাজধানীতে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, ‘মুখে মুক্তিযুদ্ধে চেতনার কথা বললেও তারা বিরোধী দলের সভা-সমাবেশের অধিকার হরণ করেছে। আইনের শাসন ও বিচারবিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন