‘২০১৮ সালে তেল আমদানি ব্যয় ৩৩ হাজার কোটি টাকা’

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে বিদেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ব্যয় হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

নসরুল হামিদ আরও জানান, জ্বালানি খাতে ২০১৮ পঞ্জিকা বছরে ৬৫,০৫৩০৮.০৬ মেট্টিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়েছে এবং উক্ত তেল আমদানি বাবদ আনুমানিক ৩২ হাজার ৯৩৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে (ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া)।

তেল-গ্যাস অনুসন্ধান

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত ও বাংলাদেশ-মিয়ানমার এর মধ্যে সমুদ্রসীমানার বিরোধ নিষ্পত্তির পর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে গভীর ১৫টি ও অগভীর ১১টি মোট ২৬টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। অগভীর সমুদ্রের ৩টি এবং গভীর সমুদ্রের একটিসহ মোট ৪টি ব্লকে ৪টি উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি)’র আওতায় ৫টি আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি (আইওসি) তেল-গ্যাস কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

দিদারুল আলমের আরেক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বাংলাদেশ-ভারত ও বাংলাদেশ-মিয়ানমার এর মধ্যে সমুদ্রসীমানার বিরোধ নিষ্পত্তির পর গভীর ও অগভীর সমুদ্রে ৫টি কোম্পানির সঙ্গে ৪টি ব্লকে ৪টি উৎপাদন চুক্তির (পিএসসি) মাধ্যমে তেল গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২ডি এবং ৩টি সাইসমিক সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ডাটা এনালাইসিস এর কার্যক্রম চলছে।

এলপিজি

ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের আওতাধীন ১২.৫০ (সাড়ে বারো) কেজি এলপিজি প্রতিটি সিলিন্ডারের ভোক্তাপর্যায়ের মূল্য ৭০০ টাকা। অপরদিকে বেসরকারি পর্যায়ে ১২.০০ (বারো) কেজি এলপিজি সিলিন্ডার প্রায় ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বেসরকারি এলপিজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ভোক্তাপর্যায়ে এলপিজির মূল্য সহনীয় রাখার জন্য আমদানি মূল্যের ওপর ভিত্তি করে আমদানিকারক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ করে একটি মূল্য নির্ধারণী ফর্মুলা প্রণয়নের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হচ্ছে।

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ২০ হাজার ৮৫৪ মেগাওয়াট

ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২০ হাজার ৮৫৪ মেগাওয়াট। বর্তমানে শীতকালীন সময়ে চাহিদা কম থাকায় গড়ে প্রতিদিন ৯ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।

ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জে সোলার চার্জিং স্টেশন

সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারা দেশে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা/ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ করার জন্য সোলার চার্জের মাধ্যম বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করার জন্য সোলার চার্জিং স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রথমে ৬টি বিভাগীয় শহরে সোলার চার্জিং স্টেশন স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০টি সোলার চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।

১৭ লক্ষাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায়

ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে ১৭ লাখের অদিক গ্রাহককে পোস্ট পেইড মিটার হতে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়েছে।

আশা করা যায়, শহর এলাকায় ২০২১ এবং গ্রাম এলাকায় ২০২৫ সালের মধ্যে সব বিদ্যুৎ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা সম্ভব হবে।