২৫০০ টাকার বিনিময়ে এক মা পেলেন ৫টি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ “দুখিনী এক মা ২৫০০টাকার বিনিময়ে পেলেন ৫টি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট।
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের রিমা আক্তার (৩০) স্বামী স্বপন মিয়া (৪০), জরায়ুর সমস্যায় চিকিৎসা নিতে এসে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
রিমা আক্তার জানান, গত ৬ অক্টোবর (২০২৫) ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মী পম্পা রানী তাঁর কাছে এসে বলেন, তোমার জরায়ু ক্যান্সারের সমস্যা আছে, আমি চিকিৎসা করে দিতে পারবো। এসময় তিনি চিকিৎসার নামে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন।
পরে রিমা আক্তার গরিব মানুষ হওয়ায় ২,৫০০ টাকা পম্পা রানীর হাতে দেন।
রিমা আক্তার আরও জানান, টাকা দেওয়ার পর পম্পা রানী তাঁকে কিছু সাধারণ ওষুধ (নাপা ট্যাবলেট) দিয়ে বলেন, এইগুলো খেলেই তোমার সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ধর্মপাশা হাসপাতালের কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারী বলেন, ধর্মপাশা হাসপাতালে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে। এর প্রতিকার এখন জরুরি।
পরে সাংবাদিকরা পম্পা রানীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে স্বীকার করে ভুক্তভোগী রিমা আক্তারকে টাকা ফেরত দেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই যদি হয় সাস্থ্য সেবার অবস্থা তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। পম্পা রাণী গাইনী বিশেষজ্ঞ সেজে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।
খুব শীঘ্রই এই ধরনের অন্যায়ের প্রতিকার দরকার, আমাদের সমাজ অন্যায় আর দুর্নীতিতে ভোরে উঠেছে,কিছু কিছু সংকট পুরুষ এবং মহিলার জন্য।
ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান রনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। যদি লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, তার টাকা নেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন