২৯ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিংয়ের শঙ্কায় স্মিথরা
আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে দেখাচ্ছে চারে অস্ট্রেলিয়া। এটা আসলে পাঁচ! প্রথা অনুযায়ী চলতি সিরিজ শেষেই এক ধাপ নিচে নেমে যাবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু স্টিভেন স্মিথের দল যদি হেরে যায় চট্টগ্রাম টেস্টেও? তাহলে, গত ২৯ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ পতন ঘটবে র্যাঙ্কিংয়ে।
১৯৮৮ সালে অ্যালেন বোর্ডারের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দলকে তাঁদের টেস্ট ইতিহাসে ‘সবচেয়ে দুর্বল’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল ইংলিশ সংবাদমাধ্যম। তকমাটা একেবারে অযৌক্তিক ছিল না। তার আগে পাঁচ বছরে ৪৩ টেস্টের মাত্র আটটিতে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এ সময় ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ হারের পাশাপাশি সেই একই দলগুলোর বিপক্ষে তারা হেরেছে ঘরের মাঠেও। আর তাই ১৯৮৮ সালের জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়া নেমে গিয়েছিল টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে।
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে ২৯ বছরের মধ্যে সেটাই ছিল সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিং। ওয়ার্নার-স্মিথদের জন্য সেই পতন ছুঁয়ে ফেলার চোখ-রাঙানি রয়েছে চট্টগ্রাম টেস্টে। হারলে তারা নেমে যাবে র্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে। জিতলে যে উন্নতি ঘটবে, তা নয়। চট্টগ্রাম টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জিতুক কিংবা ড্র করুক, র্যাঙ্কিংয়ে পঞ্চম স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
১৯৮৮ সালের জুলাইয়ে সেই পতনের পরের মাসেই র্যাঙ্কিংয়ের পাঁচে উঠে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। স্মিথরা এখান থেকে আশা খুঁজে নিতেই পারেন। তবে দলটির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও আশা জোগাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তদের। সর্বশেষ চার টেস্ট সিরিজের মাত্র একটিতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। গত বছর শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট সিরিজ হারের পর ঘরের মাঠে তারা হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও সর্বশেষ ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ হেরেছে স্মিথের দল। চলতি সিরিজেও পিছিয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম টেস্টে অস্ট্রেলিয়া যে তাই বেশ চাপে থাকবে, সে কথা বলাই বাহুল্য। সোমবার থেকে মাঠে গড়াবে চট্টগ্রাম টেস্ট।
সূত্র: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন