৩০৫ করেও পারলো না বাংলাদেশ

শুরুতে ইংল্যান্ডকে ধাক্কা দিয়েছিলেন মাশরাফি-মোস্তাফিজ। সেই ধাক্কা সামলে দুর্বার গতিতে স্বাগতিকদের এগিয়ে আলেক্স হেলস আর জো রুট জুটি। তাদের দু’জনের ‍জুটিতে ১৫৯ রান ওঠার পর অনিয়মিত বোলার সাব্বির রহমান এসে ভাঙন ধরান; কিন্তু তাতে লাভ হলো না কিছুই। জো রুট আর ইয়ন মরগ্যানের ব্যাটে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ত্যাগ করলো স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন জো রুট। ১২৯ বল খেলে তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৩৩ রানে। হাফ সেঞ্চুরি করার পর ৬১ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়ন মরগ্যানও। তার আগে ৯৫ রান করে আউট হন আলেক্স হেলস। মূলতঃ দুটি জুটিই ইংল্যান্ডকে জয় উপহার দেয়। রুট-হেলসের ১৫৯ এবং রুট-মরগ্যানের অপরাজিত ১৪৩ রানের জুটি।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যখন একের পর এক ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন রুট আর হেলস, নিয়মিত বোলাররা যখন কিছুই করতে পারছিলেন না। বাধ্য হয়েই অনিয়মিত বোলার সাব্বিরের হাতে বল তুলে দিলেন মাশরাফি। আর তাতেই কপাল খোলে বাংলাদেশের। ব্যক্তিগত ৯৫ রান করে সানজামুলের (পরিবর্তিত ফিল্ডার) হাতে কযাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হেলস। আর এতেই হেলস ও রুটের ১৫৯ রানের জুটি ভাঙল।

কেনিংটন ওভালে বাংলাদেশের দেওয়া ৩০৬ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। দলীয় ৬ রানেই সাজঘরে ফিরে যান রয়। মাশরাফির করা অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল স্কুপ করার চেষ্টায় শর্ট ফাইন লেগে মুস্তাফিজুর রহমানের অসাধারণ এক ক্যাচে পরিণত হন জেসন রয়।

দ্রুত উইকেটে হারিয়ে আর কোন ঝুঁকি না নিয়ে হেলস ও রুট দ্রুত গতিতে রান তুলে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, রুবেলদের দেখে শুনে খেলে ওপেনার হেলস এরই মধ্যে তুলে নেন তার নবম অর্ধশত। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে ৫ রান দূরে থাকে সাব্বিরের বলে সুইপ করলে সানজামুলের তালুবন্দি হন। এদিকে হেলস বিদায় নিলেও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা আরেক ব্যাটসম্যান রুট উইকেটে আছে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি মুশফিকের হাফসেঞ্চুরির উপর ভর করে ৩০৫ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।