৩০ জুন সুনির্দিষ্ট ডেট, নির্বাচন এর বাইরে যাবে না: প্রেস সচিব

আগামী বছরের জুনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই করবেন। এটার বাইরে যাবে না। উনি এক কথার মানুষ, যা বলেন, তা রাখেন।’
শনিবার (২৩ মে) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এমনটি জানান।
বিএনপির নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়ার প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘ড. ইউনূস বারবার বলেছেন নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হবে। এটা উনি বারবার বলেছেন, কালকেও অনেকগুলো দলের সঙ্গে বৈঠক হবে, সেখানেও মনে হয়, তাই বলবেন। জুনের ৩০ তারিখ সুনির্দিষ্ট, এর বাইরে যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। উনি এক কথার মানুষ।’
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপির অনড় অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি শুনেছেন।
বৈঠকে তিনটি দলের দলীয় অবস্থান সম্পর্কে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, দলগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন। তারা বলেছেন তাঁর নেতৃত্বে আস্থা আছে। কেউ কেউ বলছেন তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে পদত্যাগের বিষয়টি উনি (প্রধান উপদেষ্টা) ভাবছেন, সে বিষয়ে তাঁরা বলেছেন, পুরো বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আস্থায় আছে, উনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের করার অনুরোধ করছে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে। জামায়াত মনে করে, সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ হতে ডিসেম্বর লেগে যাবে। প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে তিনটা দলকেই বলেছেন, ‘নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হবে। জামায়াত ও এনসিপি এই টাইম লাইনকে সমর্থন জানিয়েছে।’
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশন নিয়ে জামায়াত ও এনসিপি বলেছে, তাঁরা মনে করে, এখন যে অবস্থায় আছে, তাতে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য পরিবেশ নেই। তাঁরা নির্বাচন কমিশন সংস্কারের মাধ্যমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে বলেছে।
সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও জুলাই সনদ প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়া জুলাইয়ের মাঝামাঝি শেষ করে জুলাই সনদ গৃহীত হবে বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন। জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরির কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, জুলাই হত্যাকান্ডের বিচার এ মাসে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিচার প্রক্রিয়া যাতে সকল প্রক্রিয়া মেনে স্বচ্ছ হয়, সেই কথা রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছে।
সংকট কাটবে বলে বলে মনে করেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘এখানে সংকটের কি হলো জানি না। আমরা বলতে পারি আজকে খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বাংলাদেশের তিনটি নেতৃত্ব স্থানীয় দল অংশ নিয়েছে।’
এনসিপির দাবি প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, এনসিপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন চেয়েছে। তাঁরা আওয়ামী লীগ আমলের সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন অবৈধ ঘোষণার দাবি করেছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন